করলার চা পান করলে কী হয়?
তেতো স্বাদের জন্য করলা অনেকেই তেমন পছন্দ করেন না। কিন্তু এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার করে থাকে। করলা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, লিভার পরিষ্কার করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তেতো স্বাদের সঙ্গে একবার অভ্যাস্ত হতে পারলেই আর খারাপ লাগবে না। করলার উপকারিতা পাবার একটি সহজ উপায় হলো করলার তেতো চা পান করা। এমনটাই প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
করলার চা তৈরির জন্য করলাকে প্রথমে টুকরো করে শুকিয়ে নিতে হয়। সেই শুকনো টুকরোকে পানিতে ভিজিয়ে তেতো চা তৈরি হয়। এটি গুঁড়া বা নির্যাস হিসেবেও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক, করলার চা পানে কোন কোন উপকারিতা মেলে-
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ জরুরি। কারণ সুগারের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা নানা কঠিন রোগ ডেকে আনতে পারে। দীর্ঘকাল ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার ব্যবহার হয়ে আসছে। করলার চাও এক্ষেত্রে সমান উপকারী।
রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া আমাদের শরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ এটিও সুগারের মতো নানা অসুখ ডেকে আনতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে নিয়মিত পান করুন করলার চা। এই চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
লিভার পরিষ্কার রাখে
লিভার পরিষ্কার রাখা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য ভীষণ জরুরি। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সঠিক খাবার খাওয়া। তেমনই একটি উপযোগী খাবার হতে পারে করলার চা। এটি লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ফলে বদহজম রোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
করোনাকালে এসে আমরা আবার টের পেয়েছি, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো কতটা জরুরি। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে করলার চা। এই চায়ে আছে ভিটামিন সি, যা যেকোনোইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
বর্তমান সময়ে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা নিয়ে ভুগছেন অনেকেই। অনেকের ক্ষেত্রে বেশ কম বয়সেই ধরা পড়ছে চোখের সমস্যা। এই ভয়ানক সমস্যা এড়াতে নিয়মিত পান করুন করলার চা। কারণ করলা চায়ে আছে ভিটামিন এ, যা চোখ ভালো রাখে।
করলার চা তৈরি করবেন যেভাবে
শুকনো বা তাজা করলার কয়েকটি টুকরা, পানি এবংমধু নিন। পানি ফুটিয়ে তার মধ্যে করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সমস্ত পুষ্টিদ্রব্য এতে মিশে যায়। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এরপর কাপে চা ছেঁকে নিন এবং স্বাদের জন্য মধু মেশান। রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু মেশাবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় এই চা পানের আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে একবার পরামর্শ করে নিলে।
এইচএন/এএ/এমকেএইচ