শিশুর হিট র্যাশ হলে যা করবেন
শিশুর ত্বক ভীষণ কোমল হয়। বড়দের ত্বকের মতো সহনশীল নয় তাদের, বরং অনেক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। একটু গরমেই শিশুর ত্বকে লাল র্যাশ জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানরে ভাষায় একে বলা হয় ‘হিট র্যাশ’। এক্ষেত্রে বড়দের কিছু করণীয় রয়েছে। কিছু নিয়ম মেনে চললে ও বাড়তি যত্ন নিলে শিশু যন্ত্রণাদায়ক হিট র্যাশ থেকে মুক্তি পাবে। বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে সেই উপায়গুলো।
হিট র্যাশ কী?
এটি ফুসকুড়ি বা ঘামাচির মতো এক প্রকার র্যাশ, যা আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় হঠাৎ করে দেখা যাবে। ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেলে হিট র্যাশের জন্ম নেয়। কেবল শিশুর নয় বড়দেরও হতে পারে এ ধরনের র্যাশ।
প্রতিকারের জন্য করণীয়:
* শিশুকে নিয়মিত গোসল করাবেন এবং পরিচ্ছন্ন রাখবেন। তবে শিশুর ত্বকে প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করবেন না। প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করলে শিশুর ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে চামড়া খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
* শিশুর ত্বক সংবেদনশীল হওয়ার কারণে তীব্র রোদ তারা সহ্য করতে পারে না। তাই শিশুকে প্রখর সূর্যের তাপ থেকে দূরে রাখুন।
* অতিরিক্ত গরম হলে শিশুকে এয়ারকন্ডিশন ঘরে বা ফ্যানের বাতাসে থাকতে দিন। তবে ঘর যেন অতিরিক্ত ঠান্ডা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
* শিশুর পোশাকের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সব সময় তাকে নরম ও আরামদায়ক পোশাক পরান। সুতির জামা কাপড় পরান, সিন্থেটিক কাপড় পরাবেন না।
* অনেকেই মনে করেন, বেশি বেশি পাউডার ব্যবহার করলে শিশুর ত্বক ভালো থাকবে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করলে ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে দেখা দেয় লাল র্যাশ।
* শিশুকে দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। এটি কুঁচকি সংলগ্ন অংশে হিট র্যাশ এর প্রবণতা বাড়ায়।
* শিশুর ঘাম মোছার জন্য বেবি ওয়াইপস্ ব্যবহার করুন। একবার ব্যবহারের পর তা ফেলে দেবেন।
ঘরোয়া চিকিৎসা:
* ঠান্ডা পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে তা থেকে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর হিট র্যাশ আক্রান্ত স্থানে ১ থেকে ২ মিনিট রাখার পর তা সরিয়ে নিন। এভাবে দিনে ২-৩ বার নিয়মিত করুন। কিছুদিন করলে র্যাশ দূর হবে।
* কচি শসার পেস্ট করে নিন। এবার পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ৫-৭ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। এভাবে দিনে দুই থেকে তিনবার লাগান। শসায় রয়েছে ট্যানিন ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যালার্জি বিরোধী উপাদান, যা হিট র্যাশ দূর করতে সাহায্য করে।
* তাজা অ্যালোভেরা নিন। অ্যালোভেরার খোসা ছাড়িয়ে জেল বের করে নিন। শিশুর আক্রান্ত স্থানে প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি মিনিটের জন্য রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন। এভাবে দিনে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করুন। সমস্যা দূর হবে।
এইচএন/এএ/এমকেএইচ