নিয়মিত কফি পান করলে কী হয়?
কফির কড়া গন্ধ আপনাকে নিমিষেই চাঙ্গা করে তুলতে পারে। কফির মূল উপাদান হলো ক্যাফেইন। এটি শরীর ও মনে এক ধরনের সতেজ অনুভূতি এনে দেয়। আবার ক্যাফেইন যদি অতিরিক্ত গ্রহণ করেন তবে তা নানা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণে অনেকেই কফি থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু ক্যানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে যে, কফির কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এমন কিছু দেখলেও আমরা আরও মনোযোগী এবং উদ্দীপ্ত হয়ে উঠি। এমনটাই প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিশ্বে যত ধরনের জনপ্রিয় পানীয় রয়েছে, কফির নাম সেই তালিকায় একদম উপরের দিকে। শরীরের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়, বলেছেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্যাম ম্যাগলিও। কিন্তু তার কথায়, কফির মনস্তাত্বিক প্রভাব বা কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা খুব বেশি কিছু জানি না। গবেষণাটিতে সহ লেখক পদে রয়েছেন ম্যাগলিও, যেটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য জার্নাল অফ কনসাসনেশ অ্যান্ড কগনিশন’-এ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাইমিং নামক একটি প্রভাব আছে, যার মাধ্যমে কিছু ক্ষুদ্র সংকেত আমাদের চিন্তাভাবনা ও আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে। সেই কারণে কফি না খেয়েও কিছু কফি সংক্রান্ত ইঙ্গিত আমাদের মনকে উদ্দীপ্ত এবং মনোযোগী করে তোলে।
ম্যাগলিও জানান, এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখা যে, কফি এবং এই উদ্দীপনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা। দেখা গেছে, যারা কফি খাচ্ছেন এবং যারা কফি সংক্রান্ত অন্য কোনো বস্তু দেখছেন, তাদের শারীরিক কিছু পরিবর্তন হয়।
এই গবেষণায় কর্মরত ম্যাগলিও এবং ইউজিন চ্যাং জানান, তারা গবেষণার মাধ্যমে এটাই দেখতে চান, কিভাবে সহজভাবে কিছু জিনিস কফির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে এবং উদ্দীপনার সৃষ্টি করছে। সেটি খুঁজে পাওয়ার জন্য কয়েকজন ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতিমনস্ক অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে চারটি পৃথক গবেষণার মাধ্যমে অধ্যয়ন করা হয় এবং অনেকের মধ্যেই কফি না খেয়ে শুধু প্রাইমিং এফেক্টের প্রভাবেই কিছু শারীরিক উদ্দীপনা দেখা গেছে।
এও দেখা গেছে, তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে অনেক সূক্ষ্মভাবে, বিস্তারিতভাবে বিচার করেন। নর্থ আমেরিকার কিছু প্রোটোটিপিক্যাল মানুষেরা কোনো গুরুত্বপূর্ন মিটিং-এ যাওয়ার সময় হাতে ট্রিপল এক্সপ্রেসো নিয়ে যান। কফি খাওয়া কিংবা কফির কথা ভেবে চিন্তা করার ব্যাপারটা অন্য কোনো সংস্কৃতিতে নাও থাকতে পারে।
এইচএন/এএ/এমকেএইচ