স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে যা খাবেন
বিশ্বজুড়ে অক্টোবর মাসকে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্তন ক্যান্সার নারী ও পুরুষ উভয়ের হতে পারে। স্তন ক্যান্সার মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় প্রয়োজন আগাম সচেতনতা এবং সময়মতো চিকিৎসা। তাই অনেক আগে থেকেই নিজের শরীরের নেয়া শুরু করুন। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনার সবচেয়ে বড় সঙ্গী আপনার মনের জোর। খাবারের ব্যাপারে সচেতন হওয়াটাও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ দিক।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে যা খাবেন-
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অকালবার্ধক্য রোধ করা। স্তনও এর ব্যতিক্রম নয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবুজ চাও শরীরে অকালবার্ধক্য আসতে দেয় না। ব্রকোলি, ফুলকপি, চীনা বাধাকপি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সেইজন্যে নিজের ডায়েট থেকে এগুলোও একেবারে বাদ দেবেন না।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পেশী দৃঢ় করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের জন্য উপকারি কোলাজেনও প্রোটিনে থাকে। নিটোল স্তনের জন্যে প্রত্যেকটি মিলেই কিছু না কিছু প্রোটিন উপাদান থাকা জরুরি।
বাদামী চাল, সম্পূর্ণ গমের আটার রুটি, সম্পূর্ণ গমের সিরিয়ালে আঁশ উপাদান বেশি, সেজন্যে শরীরের ইস্ট্রোজেন লেভেল কমিয়ে এনে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।
দিনে অন্তত ৫-৭ বার ফল খান। ফলে থাকে ফাইটোকেমিক্যাল, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খান। চর্বিজাতীয় ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
স্তন ক্যান্সারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার, কমলালেবু, মুসাম্বি, আঙুর, ভিটামিন সি যুক্ত ফল, পাকা আম, পাকা পেঁপে, হলুদ, রসুন ইত্যাদি উপকারি।
সবুজ সবজি প্রচুর পরিমাণে খাবেন, তবে সবজিগুলো গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। রঙিন সবজি যেমন কুমড়া, গাজর, বরবটি, শিম, লাউ খাবেন।
কমলা এবং হলুদ রঙের খাবারে বেশি মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা সুঠাম, সুন্দর স্তন গঠন করতে সহায়ক।
প্রচুর পানি খান। কাঁচা লবণ, প্রিজারভেটিভ যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। শরীরের ওজনের অনুপাতে চর্বি ও আমিষ খাওয়া উচিৎ। যত কেজি ওজন তত গ্রাম চর্বি ও আমিষ নিতে হবে।
এইচএন/আরআইপি