জেনে নিন আলিঙ্গনের উপকারিতা
গতকাল ছিল হাগ ডে অর্থাৎ আলিঙ্গন দিবস। এ ধরনের দিবসের সঙ্গে যদিও আমাদের দেশের মানুষেরা তেমন পরিচিত নন। অবশ্য তার দরকারও হয় না। প্রিয়জনকে মায়া-মমতায় জড়িয়ে ধরা আমাদের প্রতিদিনের রুটিনের অংশ। আর এই জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি যে আপনার ভালোবাসার প্রকাশ করে তাই নয়, সেই সঙ্গে মেলে শারীরিক এবং মানসিক অনেক উপকারিতা-
আলিঙ্গন আপনাকে নিরাপদ মনে করতে সাহায্য করে। যখন আপনি কাউকে আলিঙ্গন করবেন, আপনার নিজেকে অনেকটা নিরাপদ মনে হবে। এর ফলে যাবতীয় উদ্বেগ, হতাশা কমে যায়। খানিকটা সময় ভালোবাসার মানুষকে জড়িয়ে থাকলে স্ট্রেস লেভেল কমে বলে জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা।
আপনি যখন ভালোবাসার মানুষকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরেন তখন আপনার শরীর থেকে অক্সিটোসিন নির্গত হয়। অক্সিটোসিনকে ভালোবাসার হরমোন বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই হরমোন শরীরকে রিল্যাক্স করায় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত আলিঙ্গন করা জরুরি।
আমাদের হৃদযন্ত্র ভালো রাখতেও আলিঙ্গনের রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। অন্তত ২০ সেকেন্ড যদি ভালোবাসার মানুষকে জড়িয়ে থাকতে পারেন তবে হার্টবিট অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আলিঙ্গনের ফলে হার্ট ভালো থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরাও।
মাঝে মাঝেই শরীরের নানা ব্যথা-বেদনায় কাতর হয়ে পড়েন? এই যন্ত্রণা থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে প্রিয়জনের আলিঙ্গন। থেরেপেটিক টাচ ট্রিটমেন্টের ফলে ব্যথা-যন্ত্রণা কমে। দীর্ঘদিনের ব্যথা কমিয়ে আলিঙ্গনের ফলে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
আলিঙ্গন মন থেকে ভয় দূর করতে সাহায্য করে। প্রিয়জন তো বটেই, এমনকী টেডি বিয়ারের মতো কোনো প্রাণহীন বস্তুকে জড়িয়ে থাকলে মনেয় ভয় অনেকটাই দূর হয়। তাই ভয় কাটাতে বেশি বেশি আলিঙ্গন জরুরি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দিনে অন্তত চার থেকে বারোবার কাউকে আলিঙ্গন করা জরুরি। তা সম্ভব না হলে ভালোবাসার মানুষকে দিনে অন্তত ২০ সেকেন্ড জড়িয়ে থাকুন। সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
এইচএন/এমকেএইচ