অসুখ থেকে দূরে রাখবে যেসব খাবার
আমরা জীবনযাপনে যত আধুনিক হচ্ছি, নানারকম অসুখে কাবু হয়ে পড়ার ঝুঁকি ততই বাড়ছে। ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে হাতের কাছে যা পাচ্ছি, তাই খেয়ে নিচ্ছি। দূরে থাকছি স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে পারছে না সঠিকভাবে।
মারাত্মক সব অসুখ থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে কিছু সুপার ফুড। এগুলো নিয়মিত পাতে রাখলে অনেক অসুখ থেকেই দূরে থাকা যাবে। এমনকি আপনি যদি অসুখে ভুগতে শুরুও করেন, তবু এই খাবার আপনাকে তা থেকে নিষ্কৃতি দেবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
পালং শাক
আমাদের লিভারের উৎসেচক খাবারের টক্সিনকে নষ্ট করে খাবারকে হজমের উপযোগী করে তোলে। সেই লিভারেই যখন ফ্যাট জমতে শুরু করে, উৎসেচকের কাজ আর ঠিকঠাক হয় না। পালংশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই আর বিটাইন ও কোলিন নামে দুই অত্যন্ত উপকারী উৎসেচক। এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিলে লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। এমনকি কমিয়ে দেয় লিভারে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণও।
ডিম
অনেকে মনে করেন, ডিম রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বেশকিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে না। বরং ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ১২ , সেলেনিয়াম আর আয়রনের অত্যন্ত দরকারি উপাদান। এগুলো ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ থেকে আপনার শরীরকে প্রতিরোধক্ষমতা জোগায়।
আখরোট
গবেষকরা বলছেন আখরোট খেলে দূরে থাকে হার্টের সমস্যা। প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে শুধু হার্টের সমস্যাতেই মৃত্যু হয় প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষের। আখরোট খেলে কমে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। আখরোটে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ যা সুস্থসবল রাখে আপনার হার্টের পেশিগুলোকে। আখরোটের খোসা থেকে ভিতরটা পর্যন্ত সবটাই আপনার হার্টের জন্য উপকারী। এমনকি আখরোটের তেলও সালাদের সঙ্গে খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে।
ব্রোকলি
ব্রোকলিতে রয়েছে এমন একটি এনজাইম যা শরীরে ঢুকে ক্যান্সারের জিনগুলির সঙ্গে সরাসরি লড়াই করে। মাইরোসিনেজ নামের এই উৎসেচক থেকে তৈরি হয় সালফোরাফেন নামের একটি যৌগ, এটিই শরীরে থাকা ক্যান্সারের জিনগুলোকে নষ্ট করে। শুধু তাই নয়, ক্যান্সার হওয়ার পরেও যদি ব্রোকলি খেতে শুরু করেন, এই সালফোরাফেন যৌগটি ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার গতিকে বাধা দেয়।
বিনস্
বিনসে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আর ফাইবার। বিনস্ একদিকে দূরে রাখে ব্লাড সুগার আর টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর মতো ভয়ানক রোগকে। আবার অন্যদিকে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রয়েছে এমন ফাইবার যা হজম হতে সময় লাগে বেশ কিছুক্ষণ। ফলে একবার বিনস্ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাই ওজন কমাতেও এটি দারুণ উপকারী।
এইচএন/এমকেএইচ