এই উপাদানটি আপনার বয়স লুকিয়ে রাখবে
চব্বিশ ঘণ্টায় বড়জোর দশ-পনের মিনিট পাওয়া যায় ত্বকের দিকে নজর দেয়ার। কারও কারও পক্ষে আবার তাও সম্ভব হয় না। ত্বক অনেক বেশি মলিন আর প্রাণহীন মনে হলেই কেবল আমাদের টনক নড়ে। তখন দোকানের নানা ময়শ্চারাইউজার বা বডি লোশনেই ভরসা রাখতে হয়।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, যেসব ময়শ্চারাইজারে আস্থা খোঁজেন, তার বেশিরভাগেরই মূল উপাদান গ্লিসারিন।
শুধু বডি লোশন নয়, লিপবাম ও বডি অয়েলেও গ্লিসারিনের উপস্থিতি রয়েছে। তাই গ্লিসারিনকে বাদ দিয়ে রূপচর্চার কথা ভাবাই যায় না।
ত্বককে পরিপূর্ণ আর্দ্রতা তো দেয়ই সঙ্গে ত্বককে নরম রাখা ও দীর্ঘ সময় ধরে তার উজ্জ্বলতা ধরে রাখতেও এই গ্লিসারিন খুবই উপকারী।
গ্লিসারিন সব ধরনের ত্বকের সঙ্গেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে নিজেকে। শুধু শীত নয়, সারা বছরই গ্লিসারিন প্রয়োজন পড়ে ত্বকের। শুষ্ক কিংবা তৈলাক্ত- যেকোনো ধরনের ত্বকের যত্নেই কাজে আসে এই গ্লিসারিন।
যে কারণে ত্বকে গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন:
ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারালে খুব স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্যও হারাতে থাকে। তাই ত্বকের আর্দ্রতাকে ধরে রাখা জরুরি। আর এই কাজটিই করে থাকে গ্লিসারিন। এছাড়া গ্লিসারিনের প্রভাবে বাতাসের আর্দ্রতাকেও টানতে পারে ত্বক। ফলে ত্বক নরম থাকে।
ব্রণ নিয়ে সমস্যায় পড়েন না, এমন মেয়ে পাওয়া মুশকিল। এই ব্রণের সমস্যার অন্যতম সমাধানও গ্লিসারিন। এর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান মুখের ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস কমাতে সাহায্য করে।
গ্লিসারলের অভাব দেখা দিলে ত্বক শুষ্ক হয় ও বয়স্ক দেখায়। নিয়মিত গ্লিসারিনের পরিচর্যা ত্বককে সতেজ ও সুন্দর রাখে। ধরে রাখে সজীবতা।
খুব শুষ্ক ত্বক হলে তা ফেটে যায় ও টানতে থাকে। গ্লিসারিন ত্বকের সেই প্রদাহ কমিয়ে তাকে নরম রাখে। তাই প্রতিদিনের রূপচর্চায় গ্লিসারিন রাখুন।
বয়স লুকিয়ে রাখতে চান? তাহলে গ্লিসারিন ব্যবহার করা শুরু করুন। কারণ আমাদের ত্বকের কোষকে অপরিণত রেখে ত্বককে তরুণ রাখে গ্লিসারিন।
এইচএন/এমকেএইচ