ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

পিরিয়ডে কোমর ব্যথা দূর করবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৯

পিরিয়ডের সময় একজন নারীকে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শারীরিক এসব সমস্যার কারণে প্রতিদিনকার কাজগুলো করাও তাদের জন্য অসাধ্য হয়ে পড়ে। পেটে ব্যথা, বমি কিংবা বমি ভাব, কোমর ব্যথা ইত্যাদি তো থাকেই। এই এক কোমর ব্যথার জন্য তাদের আরও বেশি ভুগতে হয়। আবার সামাজিক কারণে এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনাও যথেষ্ট সীমিত। তাই অনেক মেয়েরা পিরিয়ডের সময় হওয়া পিঠ ও কোমরের মুখ বুজে সহ্য করতে বাধ্য হন। জেনে নিন এই সময়ে কোমর ব্যথা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায়-

খাদ্যাভ্যাস বদলান: অনেকেই বাইরের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। তবে পিরিয়ডের সময় বাইরের ফাস্টফুড একদম বন্ধ রাখা ভালো। বাইরের খাবার শরীরে আরও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই জাতীয় খাবার বাড়িয়ে দেয় পিঠ ও কোমরের ব্যথাও। বাদ রাখুন ভাজাভুজিও। বেছে নিন ফলজাতীয় খাবার, যাতে আছে প্রচুর পানি ও খনিজ পদার্থ। ফলের মধ্যে কলা বেশি করে খান কারণ এটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও দুপুর ও রাতের খাবারে রাখুন বেশি পরিমাণে শাকসবজি। আপনার শরীরে এই সময় প্রয়োজন আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। তাই ফলের মধ্যে বেদানা, খেজুর প্রভৃতি ফলকে বেশি গুরুত্ব দিন।

Komor-1

আদা: নারীর শরীরের যে হরমোনটি ব্যথার কারণ, তার ক্ষরণ আটকায় আদা। আদা সারাবছর সস্তায় বাজারে মেলে। এই আদা আপনি সবকিছুতেই খেতে পারেন। চায়ে মিহি করে মিশিয়ে আদা চা করে খেতে পারেন। অথবা আদাকুচি গরম পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন, এরপর মধু মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেলেও ব্যথা কমবে। এছাড়া অনেক বাঙালি রান্নাতে আদার ব্যবহার তো প্রচলিত আছেই।

হার্বাল টি খান: চায়ের মধ্যে পিপারমিন্ট ফুটিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে খান, এতে পিঠ ও কোমরের ব্যথা অনেকটা কমবে। এছাড়াও খেতে পারেন লেবুর রস দেয়া চা। একইভাবে আদা চাও সমান উপকারী। এসব চা পিরিয়ডের সময় ক্লান্তিভাব কমাতেও সাহায্য করে ও শরীরকে করে তোলে সতেজ।

Komor-1

প্রচুর পানি খান: এমনিতে শরীরের বিভিন্ন আন্তঃক্রিয়া সচল রাখতে ও খাবার ঠিকমত হজম রাখতে পানি খাওয়া অবশ্যই দরকার। কিন্তু পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে বাড়িয়ে দিতে হবে পানি খাওয়ার পরিমাণ

ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন: পিরিয়ডের সময় ব্যথা একটি সহ্যসীমার মধ্যেই সাধারণত থাকে। যদি তা না হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অসহ্য ব্যথা হতে থাকে তবে অযথা সময় নষ্ট না করে একজন দক্ষ গাইনিকোলজিষ্টের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

এইচএন/এমকেএইচ

আরও পড়ুন