পাইলস থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
মলাশয়ের নিচের অংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে যাওয়াকে পাইলস বলে। পাইলস দু’ধরনের হয়, আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক। আভ্যন্তরীণ পাইলস পায়ুপথ বা মলদ্বারের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে। বাহ্যিক পাইলস পায়ুপথের বাইরের দিকে হয়। এই দু’ধরনের পাইলসের মধ্যে সবচেয়ে কমন হচ্ছে বাহ্যিক পাইলস। জেনে নিন পাইলস হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও এর থেকে বাঁচার উপায়-
পাইলস হওয়ার পিছনে এই কারণগুলো থাকতে পারে-
*কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
*স্থূলতা
*বেশি সময় বসে থাকা
*দীর্ঘসময় টয়লেটে বসে থাকা
*হেমোরয়েড শিরায় কপাটিকার অনুপস্থিতি ও বার্ধক্য
*পুষ্টিকর খাবার খাওয়ায় ঘাটতি
*ব্যায়াম না করা
*পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি
*জন্মগত
*গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হতে থাকে। ফলে, কোলনের শিরায় চাপ পড়ে বলে শিরা স্ফীত হয়। যে কারণে পাইলস হয়। প্রথম দিকে ওষুধ ও সাবধানতা মেনে চললে এই রোগ সেরে যায়। তবে, জটিল আকার ধারণ করলে অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।
পাইলস হলে সাধারণত এই লক্ষণগুলো দেখে বোঝা যায়-
*মলের সাথে রক্ত পড়া পাইলসের প্রধান লক্ষণ। যখনই দেখবেন আপনার মলের সাথে রক্ত পড়ছে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
*মলদ্বারে ব্যথা হওয়া। ফলে, বসতে অসুবিধা হওয়া।
*মলদ্বারের চারপাশে ফুলে যায় ও চুলকানি হয়।
*পাইলসে আক্রান্ত হলে মলদ্বারের রক্তনালীতে চাপ বৃদ্ধি পায় বলে মল নির্গমনের সময় ব্যথা হয়।
কিছু পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগ প্রতিরোধ হতে পারে -
*পায়ুপথের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
*হালকা গরম পানিতে দিনে কয়েকবার পায়ুপথ ভিজিয়ে নিন।
*পায়ুপথ ফুলে গেলে সেখানে বরফ দিতে পারেন।
*চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত মলম ব্যবহার করুন।
*প্রদাহ বা সংক্রমণের দ্রুত চিকিৎসা নিন।
*প্রতিদিন প্রচুর আঁশযুক্ত সবজি, ফলমূল ও খাবার গ্রহণ করবেন। মাংস, কম আঁশ ও বেশি চর্বিযুক্ত খাবার, কড়া মশলা, ফাস্টফুড ইত্যাদি পরিহার করুন।
*বেশি করে পানি পান করুন।
*কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করুন, মলত্যাগে কখনো বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না, আটকে রাখবেন না।
*ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
*নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। তাই শরীরচর্চা করুন।
এইচএন/এমকেএইচ