যে কারণে মেয়েদের সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন জরুরি
স্তন ক্যান্সারের আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চললেও তার গতি এখনও অনেকটাই ধীর। এখনও স্তনের পরীক্ষা করানো কিংবা এই সংক্রান্ত কথা বলতেও অস্বস্তিবোধ করেন অধিকাংশ নারী। আর এই সুযোগেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে স্তন ক্যান্সারের মতো সমস্যা। প্রথমেই যদি সমস্যা শনাক্ত করা যায় তবে দ্রুতই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সেজন্য প্রয়োজন সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন বা নিজেই পরীক্ষা করে দেখা।
স্তনের স্বাস্থ্য পরীক্ষাটা যেকোনো সচেতন নারী নিজেই করতে পারেন। তবে কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে বুঝতে পারলে প্রথমেই টেনশনে ভেঙে পড়বেন না। ক্যান্সার ছাড়াও আরও নানা রোগের কারণে স্তনের আকারে পরিবর্তন আসতে পারে, তাই ডাক্তার না দেখিয়ে কোনো ব্যাপারেই নিশ্চিত হওয়া ঠিক নয়।
চিকিৎসকেরা খুব সহজ কিছু উপায় জানিয়েছেন স্তন পরীক্ষা করার। গোসলের পর বাথরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সহজেই এই পরীক্ষাগুলি করতে পারবেন। এই বিষয়গুলো খেয়াল করবেন-
১. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তনের দিকে সোজা তাকিয়ে দেখুন, তার আকারে কোনোরকম অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ছে কি না।
২. দুই হাত মাথার উপর তুলে দেখুন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে কিনা।
৩. কোমরে হাত রেখে দাঁড়ান আয়নার সামনে। দেখুন স্তনের গঠনে কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা।
৪. চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন, দুটো হাত ছড়িয়ে দিন দু’পাশে। ডান হাত দিয়ে বাম স্তন ও বাঁ হাত দিয়ে ডান স্তন পরীক্ষা করুন। আঙুলগুলো রাখুন কাছাকাছি, এবার হাতের তালু দিয়ে পুরো স্তনের আনাচকানাচ খুঁজুন।
৫. স্তনের পাঁচটি ভাগ আছে, আপার ইনার, লোয়ার ইনার, আপার আউটার, লোয়ার আউটার আর সেন্ট্রাল। পুরোটা খতিয়ে দেখুন। অস্বাভাবিকতা দেখলেই ডাক্তার দেখান।
৬. স্তনবৃন্ত থেকে কোনো ক্ষরণ হলেও সাবধান হতে হবে।
৭. প্রতি মাসে একবার এইভাবে চেকআপ করুন
এইচএন/এমকেএইচ