অফিস ব্যাগ ভীষণ ভারী? ওজন কমান এভাবে
অফিসে কাটাতে হয় দিনের প্রায় পুরোটা সময়। সকালে তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসা পর্যন্ত যে অনুষঙ্গটি আপনার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হলো অফিস ব্যাগ। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সবকিছুর ঠিকানা তো সেখানেই! পানির বোতল থেকে শুরু করে চিরুনি, আয়না- কী থাকে না সেখানে!
কখনো কখনো আপনার এমনটা মনে হতেই পারে যে অফিস ব্যাগটা ভীষণ ভারী হয়ে যাচ্ছে। টানতে গিয়ে কাঁধে-পিঠে ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। আসলে এই ব্যাগের ভেতরেই আমরা প্রয়োজনীয় ভেবে এমন অনেক জিনিস রেখে দেই যেগুলো ব্যাগে না থাকলেও চলে। তাই ব্যাগটি হালকা করতে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। জেনে নিন সমাধান-
অফিসে একটু বড় আকারের ব্যাগ নেওয়াই সুবিধেজনক, কারণ তাতে প্রচুর জিনিসপত্র ধরে। তাই শক্তপোক্ত টোট ব্যাগ রাখুন সঙ্গে। যারা ল্যাপটপ ক্যারি করেন, তারা অবশ্যই এমন ব্যাগ কিনুন যার মধ্যে ল্যাপটপ রাখার জায়গা আছে। ল্যাপটপ ক্যারি করার জন্য একেবারে আলাদা ব্যাগও মেলে, তেমন কিছুও কিনতে পারেন। ব্যাগের রং কালো বা ট্যান হলে যেকোনো ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানাবে। ব্যাগে অতি অবশ্যই কয়েকটি জিপসমেত কম্পার্টমেন্ট থাকতে হবে।
ব্যাগের ভেতরের সমস্ত জিনিস বের করে সামনে রাখুন। যেসব জিনিসপত্র গত এক মাসে ব্যবহার করেছেন, সেগুলো একদিকে সরিয়ে রাখুন। অন্যদিকে রাখুন অব্যবহৃত জিনিসপত্র। ভেবে দেখুন তো, গত কয়েক মাসে যে সব জিনিস আপনি একবারও ব্যবহার করেননি, সেগুলি কি আদৌ প্রয়োজনীয়? যদি দরকার না থাকে, তা হলে সেগুলোও সরিয়ে রাখুন।
চিরুনি, আইলাইনার, লিপ বাম, লিপস্টিক, কাজল, ছোট আয়না, সেফটিপিন, মাউথ ফ্রেশনার, কলম, অফিসের আই কার্ড, ছোট্ট নোটবুক, এক্সট্রা ক্রাঞ্চ ক্লিপ বা রাবার ব্যান্ডের মতো যে সব জিনিসপত্র ব্যাগ হাতড়েও খুঁজে পাওয়া যায় না, সেগুলি রাখুন একটা বড়ো পাউচে। যেদিন ব্যাগ বদলাবেন, সেদিনও কাজের জিনিস নিতে ভুল হবে না।
ব্যাগের বাইরের দিকে যে ছোট্ট পকেটটা থাকে, সেখানে রাখুন আপনার গাড়িভাড়া আর ভিজিটিং কার্ড। হঠাৎ দরকার পড়লে বের করতে সুবিধে হবে। যে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন, সেটিই রাখুন পার্সে, আর রাখুন কিছু ক্যাশ। পার্স থাক ব্যাগের ভিতরে, সেখানেই রাখুন বাড়ি আর গাড়ির চাবিও। এখানেই রাখুন সানগ্লাস, রিডিং গ্লাস, চশমা।
ছোট্ট একটা পানির বোতল (স্টিলের হলে ভালো হয়), শুকনো বা তাজা ফল, ছাতা আর সিল্কের একটা স্কার্ফও ব্যাগে রাখতে ভুলবেন না।
এইচএন/এমএস