দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার কিছু কৌশল
মানুষের জীবনে সব মুহূর্ত সমান কাটে না। জীবনে চলার পথে বিভিন্নরকম সমস্যা আসতেই পারে। সমস্যার সঙ্গে আবার যুক্ত হয় মানসিক দুশ্চিন্তা। যেকোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করাই যায় তবে দুশ্চিন্তা একদমই নয়। চলুন জেনে আসি মানসিক চাপমুক্ত থাকার কিছু উপায়-
১. যে কোন বয়সে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাপমুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে। চাপের মাত্রাটাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার চর্চা করুন। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকার ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও মানসিক চাপজনিত অন্যান্য অসুখে বা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সমূহ ঝুঁকি থাকে। মানসিক চাপমুক্ত থাকতে যোগব্যায়াম, আসন ও মেডিটেশন করুন।
২. ব্যায়ামের ফলে মানুষের মস্তিষ্ক আরও সক্রিয় অবস্থায় থাকে। ভালো থাকার জন্য নিজের মধ্যে অনুপ্রেরণা তৈরি হয়। ব্যায়ামে মানসিক চাপ দূর হয় ও মস্তিষ্কে সুরক্ষাকারী হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। সপ্তাহে এক বা দুই দিন বাদ দিয়ে বাকি দিনগুলো আধঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না।
৩. পাজল, শব্দ-সাজানো বা শব্দ খোঁজা, দাবা জাতীয় খেলায় স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। এ ধরনের খেলা ভাষাগত ও যুক্তি দেয়ার দক্ষতা বাড়ায়, মস্তিষ্কে সূক্ষ্ম শাখা-প্রশাখা সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
৪. মানসিকভাবে সুস্থ থাকার খুব ভালো উপায় হচ্ছে, সমাজের সঙ্গে নিজেকে চমৎকারভাবে খাপ খাইয়ে নেয়া। সামাজিক মেলামেশাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গঠনমূলক কথাবার্তা বা কিছুটা বিনোদনমূলক সময় কাটানোয় আপনার শেখার পরিধি বাড়বে এবং মস্তিষ্কের দক্ষতার চর্চা হবে।
৫. সুষম খাদ্যাভাসের পাশাপাশি নিয়মিত প্রতিদিন ৮-১০ কিংবা পরিশ্রম বেশি হলে ১২-১৪ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে আপনার শরীর হবে ঝরঝরে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৪ থেকে ৫ গ্লাস পানি পান করুন। ২ গ্লাস পানি পানের পর আধ ঘণ্টা বিরতিতে আরও ২ গ্লাস পানি পান করুন এবং ১ ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা সেরে ফেলুন।
৬. শরীর ও মনকে হারানো উদ্যম ও শক্তি ফিরিয়ে দেয় সুনিদ্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম অপরিহার্য। বয়সভেদে সেটার কিছুটা তারতম্য হতে পারে। সবসময় স্থির থাকার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত চঞ্চলতা পরিহার করুন।
এইচএন/এমএস