বসন্তে অসুখ থেকে দূরে থাকবেন যেভাবে
বসন্তে রঙিন ফুলের মন মাতানো গন্ধে কাজ করে ভালোলাগা। আবার এই সময়েই প্রকোপ বাড়ে নানা অসুখ-বিসুখের। হঠাৎ পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে চলাটা একটু মুশকিল হয়ে যায়। বসন্তে অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। ফলে ভিতর থেকে শরীর শক্তপোক্ত না হলে ঋতু পরিবর্তনের ধাক্কা সামলানো কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ওষুধ ছাড়াই দূর করুন টনসিলের ব্যথা
ভাইরাল ফিভার, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ও চামড়ার অসুখের প্রকোপ বাড়ে বসন্তে। এছাড়া পেটের গোলমাল বা অন্যান্য অসুখবিসুখও থাকে।
শীতে সাধারণত সবাই ভাজাভুজি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ফেলেন, শরীর গরম রাখার জন্য বাড়তি ক্যালোরির প্রয়োজনও হয়।
আবার এই ধরনের খাবারের কারণেই কখনো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে হয়, কখনো আবার ডায়েরিয়া বা ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ বিরক্ত করে। অতিরিক্ত ভাজাভুজি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে গা গোলানো, বমি বা পেট ফাঁপার সমস্যাতেও ভোগেন অনেকে৷
যেসব নিয়ম মেনে চলবেন:
সুস্থ থাকতে টেকনোলজিকে কাজে লাগান। সকালের খবরের কাগজ, নিউজ চ্যানেল, এমনকি আপনার ফোনেও আবহাওয়ার হাল-হকিকত জানতে কয়েক সেকেন্ড লাগবে। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে অবশ্যই সেটা একবার চেক করে নিন।
যদি দেখেন রাতের দিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তা হলে সঙ্গে একটা গরম পোশাক রাখুন। আবার যেদিন গরম লাগছে, সেদিন একগাদা জ্যাকেট-কোট চাপিয়ে ঘামলেও কিন্তু শরীর খারাপ হতে পারে। গরমের পোশাক পরে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং সেটা শুকাতে পারে না বলেই ত্বকের রোগ দেখা দেয় বসন্তে।
এই সময় রোজ আবহাওয়া বদলায়। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময়টা শরীরকে দিতে হবে। যারা বাইক চালান, তারা অবশ্যই নাক-মুখ ঢেকে রাখুন, বিশেষত রাত আর ভোরের দিকে।
বাড়িতে বা অফিসে কেউ ভাইরাল ফিভার বা সর্দি-কাশিতে ভুগলে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন কারণ এগুলি খুব তাড়াতাড়ি ছড়ায়।
হালকা জ্বর, গা ব্যথায় প্যারাসিটামল খাওয়া যায়, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। শীতকালে অনেকেই পানি খাওয়া একেবারে কমিয়ে দেন, গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা আবার বাড়াতে হবে। হালকা গরম পানিতে খুব ভালো করে প্রতিদিন গোসল করবেন৷
এইচএন/এমকেএইচ