হবু মায়েরা যা খাবেন
গর্ভবতী মায়ের সুস্থতার উপর নির্ভর করে গর্ভের শিশুর সুস্থতা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গর্ভবতী থাকাকালীন একজন নারীর বেশি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজন হয়। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর দৈনিক ২১শ` ৬০ কিলো ক্যালরি খাদ্যের প্রয়োজন হলেও একজন গর্ভবতীর প্রয়োজন হয় তার চেয়ে ৩৫০ কিলো ক্যালরি খাদ্যের। তা না হলে শিশু অপুষ্টিতে ভোগে ও কম ওজন নিয়ে শিশু জন্মায় যার মৃত্যু আশঙ্কাজনক।
গর্ভাবস্থায় আমিষ জাতীয় খাবার, উদ্ভিজ্য চর্বি, যা পূরণে ভোজ্য তৈল, সয়াবিন, সরিষা বাদাম, দুধ, স্টিমড ব্রকোলি, পনির, কম চর্বিযুক্ত ইয়োগট, এককাপ ক্যালসিয়ামযুক্ত অরেঞ্জ জুস, সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে।
আয়রন ও ফলিক এসিড যা কাঁচা কলা, কচুশাক, অন্যান্য ঘন সবুজ ও লাল শাক, মাছ, মাংস ও ডিমে রয়েছে। ভিটামিনের জন্য প্রচুর শাকসবজি, টক, মিষ্টি ফল, জুস খেতে হবে। পানি যা গর্ভস্থ শিশু, পুষ্টির সরবরাহ সঠিক রাখতে এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থসমূহ নিষ্কাষণে সহায়ক। তাই গর্ভবতীকে প্রতিদিন ১৫-২০ গ্লাস পানি পান করতে হবে তবে একবারে ২ গ্লাসের বেশি পানি পান করা যাবে না।
শর্করা যা অধিক খেলে শরীরে ওজন বেড়ে যায় তাই অাঁশযুক্ত শর্করা যেমন ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত, গমের রুটি ইত্যাদি খাওয়া উচিত। আলু, ও মিষ্টি আলু স্বাস্থ্যসম্মত যা শর্করার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আমিষ; লৌহ ও থায়ামিন, ভিটামিন সরবরাহের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তবে শাকসবজি, ডিম, মাছ বা মাংস ভালো করে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
সতর্কতা
লিভার কিংবা লিভারজাত অন্য খাবার কম খেতে হবে। কারণ এগুলোতে উচ্চমাত্রায় ভিটামনি `এ` থাকায় তা গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে মায়ের অবাঞ্ছিত গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ কিছু কিছু খাবার যেমন কাঁচা পেঁপে, আলু, ছোলা, গাজর, বিট, ফুলকপি, ধনেপাতা পুদিনাপাতা, চীনাবাদম, কাজু বাদাম, পেস্তা ইত্যাদিতে এমন কিছু উপাদন আছে যা রান্না না করলে ভ্রূণের ক্ষতিসাধন করে। ফলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ভালোভাবে সেদ্ধ করলে এসব ক্ষতিকারক উপাদান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এগুলো কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। গর্ভাবস্থায় আনারসও ঝুঁকিপূর্ণ।
এইচএন/পিআর