যেসব অঙ্গে খালি হাতে ছোঁবেন না
মানব শরীরের অনেক অঙ্গ আছে যেগুলো অনেক বেশি সংবেদনশীল। সেগুলো অতিমাত্রায় সংক্রমিতও হয়। তাই ওসব স্থানে কখনোই খালি হাতে স্পর্শ করা উচিত নয়।
খালি হাতে ছুঁলে সেখান থেকে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু হাতের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। আমরা হাত ধুয়ে নিলেও অনেকসময়ে ওই অঙ্গ থেকে চলে আসা জীবাণু হাতে থেকে যায় এবং তা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে। এর থেকে নানা সংক্রমণও হয়ে থাকে।
জেনে নিন, শরীরের কোন অঙ্গগুলিকে খালি হাতে একেবারেই ছোঁয়া উচিত নয়।
নাক
অনেকেরই নাক খোঁটার বদ অভ্যাস রয়েছে। সচেতন বা অসচেতনভাবেই অনেক প্রায়ই আমরা নাকে আঙুল দিয়ে চুলকাতে চেষ্টা করি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এমন করলে নখের ভিতরের জীবাণু সব হাত দিয়ে নাকে প্রবেশ করে।
নখ
নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া আঙুলের নখের ভিতরে বাস করে। দাঁত দিয়ে নখ কাটা মানে সেই ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মুখে প্রবেশ করানো। তাই যত শিগগির সম্ভব এই অভ্যাসটি ত্যাগ করেত হবে।
মুখের ভিতরে
মুখের ভিতরের জায়গাটা নরম ও কোমল। তার প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় খাওয়ার সময়ে আমরা মুখের ভিতরে হাত দিই। তবে অন্য কোনও সময়ে নোংরা হাত মুখে দিলেই জীবাণুর সংক্রমণ হবে।
মুখের ত্বকে
মুখের ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়। মুখ ধোওয়ার সময় বাদে যখন-তখন মুখে হাত দিলে চামড়ার মারাত্মক ক্ষতি হয়। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে চামড়ায় সংক্রমণও হতে পারে।
চোখ খালি
হাতে চোখে হাত দেওয়া মানেই বহু জীবাণুর সংক্রমণ হওয়া। চোখ জ্বালা করলে বা চুলকানি হলে পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে ধীরে ধীরে চোখে বোলাতে পারেন, খালি হাত নয়।
কান
অনেকেরই আঙুল বা সরু জিনিস ঢুকিয়ে কান খোঁচানোর অভ্যাস রয়েছে। এমন করলে যেকোনও মুহূর্তে শ্রবণ ক্ষমতা নষ্ট হতে পারে। একইসঙ্গে কানের মধ্যে কোথাও সংক্রমণ হলে তাতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।
নিতম্ব
বিশেষ কারণ ছাড়া নিতম্বের মাঝে অবস্থিত মলদ্বারের আশেপাশে কখনো হাত দেওয়া উচিত নয়। এই জায়গাটিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ অনেক বেশি থাকে। ফলে তা হাতের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
গোপনাঙ্গ
গোপনাঙ্গ বা বগলে, এমনকী মাথার চুলেও হাত দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুয়ে নেবেন কারণ সেখানেও বহু ব্যাকটেরিয়ার বাস।
এলএ/এমআরআই