গরমে ডাবের পানি খেলে কী হয়?
গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির উপর নির্ভর করেন অনেকেই। বিশেষ করে বাইরের জুস বা শরবতের থেকে ডাবের পানি অনেক বেশি নিরাপদ। ডাবের পানি আমাদের শরীরে কী কী উপকার বয়ে আনে চলুন জেনে নেই-
আরও পড়ুন: যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না
অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীরে ঘামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পানি বেরিয়ে যায়। আবার কখনো অতিরিক্ত গরমে বমির ফলেও অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা হয়। ডাবের পানি শরীরের এই ঘাটতি পূরণ করে। এতে আছে কার্বোহাইড্রেড যা এনার্জি বাড়ায়।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের পানি বেশ কার্যকরী। কারণ এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে। মনে রাখবেন ডাবের পানি একটু মিষ্টি হয় তাই ডায়াবেটিসের সমস্যায় অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
ডাবের পানি হার্টকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। হার্টকে ভালো রাখতে খাবারের তালিকায় ডাবের পানি যোগ করতে পারেন। এটা প্রমাণিত, ডাবের পানি হার্ট অ্যাটার্কের সম্ভাবনা অনেকটা কমায়। এটি হাইপারটেনশনও কমায়।
হাড়কে মজবুত রাখার জন্য দরকার ক্যালসিয়াম ও আরও অনেক পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের পানিতে ক্যালসিয়াম আছে যা হাড়ের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।
বাইরের রোদ থেকে হওয়া সান ট্যানের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ডাবের পানি উপকারী। কারণ এটি প্রাকৃতিক ট্যান রিমুভারের মতো কাজ করে। শুধু সান ট্যান নয় মুখের অন্য যেকোনো ব্ল্যাক স্পট দূর করতেও সাহায্য করে।
ডাবের পানি প্রাকৃতিক টোনার হিসাবে কাজ করে। এটি স্কিনে পিগমেনটেশন, ব্লেমিসেস দূর করে।
স্কিনের অন্যান্য সমস্যা বা ইনফেকশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি স্কিনের ইনফেকশন কমায়। কারণ ডাবের পানিরর আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ।
ডাবের পানি ত্বককে চকচকে করার পাশাপাশি, এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারের কাজ করে। এর পাশাপাশি ত্বক তৈলাক্ত হলে ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে দূর করে।
আরও পড়ুন: লেবুপানির যত উপকারিতা
ত্বকের সঙ্গে চুলের সমস্যা ও চুলকে ভালো রাখতেও ডাবের পানি উপকারী। এটি স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে চুল কম পরে।
এইচএন/আরআইপি