সুন্দরী হতে চাইলে যেসব ফলের রস খাবেন
সবাই চায় নিজেকে দেখতে সুন্দর লাগুক। সেজন্য ত্বকের সুস্থতা নিশ্চিত করা জরুরি। ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে খাবারের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। নিয়মিত কিছু ফলের রস খেলে আপনার চেহারায় জেল্লা আসতে বাধ্য। কোন ফলগুলো? চলুন দেখে নেয়া যাক-
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহেই ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
আপেলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে।
গাজরে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি তাপ প্রবাহের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে চান, তাহলে প্রতিদিন গাজর এবং কমলা লেবু দিয়ে বানানো জুস পান করুন।
কমলায় আছে সাইট্রিক অ্যাসিড। যা ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক ফর্সা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। গায়ের রঙ সুন্দর করতে চাইলে নিয়মিত কমলার রস খান।
বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ, সি এবং কে, সেই সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন বি৫, বি১, ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সবকটি উপাদানই ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাঁধাকপির জুস খেলে শরীর থেকে সব ক্ষতিকর উপদান বেরিয়ে যায়। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ যেমন কমে, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ অ্যালো ভেরা জেলে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন। এই সবকটি উপাদানই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যালোভেরার জুস ত্বকে উপস্থিত একাধিক টক্সিনকে বের করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেলে ত্বক সুন্দর এবং নরম হতে শুরু করে।
নিয়মিত বিটের জুস খেলে ত্বকের বয়স কমতে থাকে। ফলে সৌন্দর্য এমনিতেই বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ত্বকে উপস্থিত নানা ক্ষতিকর উপাদানকে বের করে দিয়ে স্কিনের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিটরুটে উপস্থিত লাইকোপেন ত্বককে টানটান করে। ফলে বলিরেখা উধাও হয়ে গিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: নিজেই তৈরি করুন শ্যাম্পু
আনারসে রয়েছে ব্রমেলিন নামক উপাদান যা ব্রণের প্রকোপ কমানোর পাশপাশি নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ, যা ত্বকের প্রদাহ তো কমায়ই, সেইসঙ্গে ব্রণের প্রকোপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এইচএন/আরআইপি