শিশু জন্মের আগেই যে কাজগুলো করতে পারে
শিশুর জন্মের পরে সে যা-ই করে, আমরা ভাবি এগুলো বুঝি তার জন্য নতুন। কিন্তু সবক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। এমন অনেক বিষয় আছে যা মাতৃগর্ভে থাকাকালীনই অনুভব করতে পারে শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন, মস্তিষ্কের গঠন উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কিছু কিছু ইচ্ছাধীন কাজও আপনার শিশু করে ফেলে জন্মের আগেই। চলুন জেনে নেই-
আরও পড়ুন: মশা আপনাকে বেশি কামড়ায় কেন?
কেমন আছে মা? রাগে, মজায়, না কি ভয়ানক দুঃখে? সবটাই বুঝতে পারে শিশু। গর্ভধারণের ৮ মাস পরই গর্ভস্থ শিশুর মুখে ফুটে উঠতে থাকে নানা আবেগের ভঙ্গি। মূলত, মায়ের ভালো থাকা-খারাপ থাকার ওপর তা অনেকটাই নির্ভর করে। মা খুশি হলে শিশুও খুশি! ৩৩ সপ্তাহ কাটলে তার হাসি মুখের ছবিও ধরা পড়ে আলট্রাসাউন্ডে।
মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার আগে অফিসে কাজের চাপ বেড়েছে কিংবা বাড়িতে কোনো কারণে মানসিক চাপে আছেন? আপনার শিশু কিন্তু ঠিক টের পেয়ে যায়। গর্ভবতী মাকে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন চাপমুক্ত থাকতে। এতে তার শরীর তো ভালো থাকেই, সঙ্গে ভালো থাকে শিশুও। আপনি সমস্যায় থাকলে তারও মন খারাপ হয়। অস্তিরতা থাকে তার ছটফটানিতে।
গর্ভে থাকাকালীন কোনো কারণে রেগে গেলে বা কষ্ট পেলে কেঁদে ওঠে সে। তবে তখনও শব্দ করতে পারে না বলে, সে কান্নার প্রকাশ হয় নিঃশব্দে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তিন মাস পর থেকেই আলট্রাসাউন্ডের মাইক্রোফোনে অনেক সময়ই তার কান্নার মৃদু তরঙ্গ ধরা পড়ে।
গর্ভস্থ অবস্থায় সুর করে বা জোরে কোনো ছড়া-গল্প বললে কিংবা গান গাইলে তা শুনতে তো পায়ই শিশু, শুধু তা-ই নয়, তার মস্তিষ্কের কাজও চলে পুরোদমে। হ্যাঁ, গর্ভে থাকাকালীনই সে মনে রাখতে শিখে যায় বারবার শোনা কোনো গান বা ছড়ার লাইন।
আরও পড়ুন: হবু মায়েরা যেসব নিয়ম মেনে চলবেন
আট মাস গর্ভধারণের পরের আলট্রাসাউন্ডে প্রায়ই ধরা পড়ে শিশু মুখের মধ্যে আঙুল পুরে নিশ্চিন্তে রয়েছে। আঙুল চোষার এই পাঠ সে শিখে ফেলে গর্ভে থাকাকালীনই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাতের আঙুল নিয়ে যে কী করবে তা সে মাঝে মাঝেই বুঝে উঠতে পারে না, তাই সটান চালান করে দেয় মুখে!
এইচএন/আরআইপি