এই সময়ে পায়ের যত্ন
বর্ষাকাল শুরু হয়নি এখনও, তাই বলে বৃষ্টি যে হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। আর এই বৃষ্টিতে ঘরে বসে থাকা নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। কারণ জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে বের হতেই হবে। কিন্তু স্যাঁতস্যাঁতে এই সময়টাতে পা ভিজে যাওয়া সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়া। যা থেকে হতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন, চুলকানি, পায়ের দুর্গন্ধ ও কালো ছোপ ছোপ দাগ। তাই চলুন জেনে নেই এই সময়ে পায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে।
আরও পড়ুন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মেথির ফেসপ্যাক
বাইরে থেকে ফিরেই পরিষ্কার পানিতে কয়েক ফোঁটা এন্টিসেপটিক মিশিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর সাবান দিয়ে আরেকবার ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
বর্ষায় পায়ের নখ যত ছোট রাখা যায় ততই ভালো, নয়তো নখের নিচের জমে থাকা ময়লা প্রচুর ভোগান্তি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এসময় প্রতিদিন গোসলের সময় পা ঘষে পরিষ্কার করা উচিত। যদি হাতে সময় থাকে তবে ১০ মিনিটের জন্য শাওয়ার জেল অথবা স্যাম্পু গোলা পানিতে পা ভিজিয়ে রেখে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।
পেডিকিউর করতে প্রথমে নিমপাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। তারপরে এতে পাতিলেবুর রস, অল্প লবণ ও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপরে পিউমিস স্টোনের সাহায্যে গোড়ালি এবং পায়ের তলা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পা শুকনো করে মুছে ভালো কোন ক্রিম পুরো পায়ে লাগিয়ে নিন।
২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে, হলুদ বাটা, নিম পাতা বাটা মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর হালকা গরম পানিতে ঘষে ঘষে পা ধুয়ে নিন। পা ভালো করে মুছে লাগিয়ে নিন হালকা একটু অলিভ অয়েল। এরপরে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে দেখবেন নরম মসৃণ পা।
গোড়ালির শক্ত চামড়া তুলতে ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল এবং নারকেল তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে নিয়ে এর সাথে মেশান ২ চা চামচ চিনি ও লেবুর রস। পায়ের শক্ত চামড়ায় ঘষতে থাকুন যতক্ষণ না তেল ত্বকে শুষে নিচ্ছে।
পায়ের ক্লান্তি দূর করতে ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। ক্লান্তিও দূর হবে। সান ট্যানও কমাবে।
আরও পড়ুন: যে ভুলে ত্বকের ক্ষতি হয়
পায়ে গন্ধ হলে নিয়মিত পেডিকিউর রুটিন মেনে চলুন। পা পরিষ্কার করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান হালকা করে। এরপরে একটুখানি ট্যালকম পাওডার লাগিয়ে নিন। সব সময় বন্ধ জুতা না পরে খোলা জুতা বা স্যান্ডেল পড়ুন।
এইচএন/আরআইপি