রোজায় আনারস কেন খাবেন
আনারসকে বলা হয়ে থাকে স্বর্ণকুমারী। সোনালী রঙের বলেই এমন নাম! আনারস খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। আনারস ভিটামিন এ, বি ও সি এর একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ব্রোমেলেইন, বিটা-ক্যারোটিন, মিনারেল, শর্করা, ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন ও সহজপাচ্য ফ্যাট খুবই অল্প পরিমাণে। এছাড়া প্রতি কেজি আনারস থেকে প্রায় ৫০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। সারা দিন রোজার শেষে ইফতারে যখন ক্লান্তি ভর করে, তখন আনারস আপনাকে ফিরিয়ে দিবে এনার্জি। আনারস খেতে পারেন জুস করে কিংবা সালাদে। চলুন জেনে নেই আনারসের আরও কিছু উপকারিতা-
আরও পড়ুন: যে কারণে ইসুবগুলের ভুসি খাবেন
আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকায় এবং এতে ফ্যাট-এর পরিমাণ একেবারেই কম হওয়ায় এই ফল ওজন কমাতে সহায়ক। এটি রুচিবর্ধক ফল। তাই, মুখে রুচি না পেলে আনারস খান।
দেহের হাড় এবং মাড়িকে মজবুত রাখতে আনারসের কিন্তু জুড়ি নেই। কারণ এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, মিনারেলস, ম্যাংগানিজ ও ভিটামিন থাকে। মুখের ভেতরের জীবাণুর আক্রমণ রোধ করে।
আনারস ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আনারস দেহের চামড়া কুচকে যাওয়া প্রতিরোধ করে থাকে ভিটামিন সি এর মাধ্যমে। এছাড়া আনারস ত্বকের অতিরিক্ত তেল কাটিয়ে ব্রণের ঝামেলা থেকেও রেহাই দেয়।
আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল ও আয়রন রয়েছে। তাই আনারস খেলে চুল পড়া কমে যায়।
পেট ফাঁপা বা বদহজম হলে কয়েক টুকরো আনারস, লবণ ও গোল মরিচে মেখে খেয়ে নিন। খেতেও দারুণ লাগবে আর পেটের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: রমজানে দূর হোক পানি শূন্যতা
জ্বর কিংবা শরীর ব্যথায় আনারস অনেক উপাদেয়। কারণ আনারসে এক প্রকার প্রদাহনাশক এনজাইম রয়েছে। সেই সাথে ভিটামিন সি তো আছেই।
এইচএন/আরআইপি