রোজায় গ্যাস্ট্রিক দূর করতে যা খাবেন
রোজায় অধিকাংশ মানুষেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। আর সেখান থেকে বদহজম, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এর একটি বড় কারণ হলো সারাদিন না খেয়ে থাকার পরে সন্ধ্যায় বাইরের খাবার বা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া। এসব খাবার খাওয়া থেকে তো বিরত থাকতে হবেই, কিন্তু গ্যাস্ট্রিক একবার হয়ে গেলে দূর করবেন কিভাবে? যেসব খাবার সবসময় আপনার বাসায়ই থাকে তাই দিয়ে বিদায় জানাতে পারেন এই গ্যাস্ট্রিককে।
শসা পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
আরও পড়ুন: যে কারণে ইসুবগুলের ভুসি খাবেন
দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
দারুচিনি দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। পানি গরম করার সময়ে দারুচিনি দিয়ে খান। এতেও চটজলদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে।
কলা পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। আদা চিবিয়ে রসটুকু খেলে পেটে গ্যাস প্রতিরোধ করা যায়। আধ ইঞ্চি পরিমাণ আদা থেতো করে লবণ দিয়ে খান। গ্যাস্ট্রিক পালাতে বাধ্য!
আরও পড়ুন: ইফতারে মুড়ি কেন খাবেন
পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
ঠান্ডা দুধ পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
এইচএন/আরআইপি