ঘরেই তৈরি করুন মজাদার ক্ষীরকদম
বাজার থেকে কিনে আনার থেকে ঘরে তৈরি যেকোনো খাবারই নিঃসন্দেহে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। মিষ্টি তৈরির রেসিপি অনেকেরই জানা থাকে না বলে বাজারের মিষ্টির ওপরই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু রেসিপি জানা থাকলে ঘরে বসেই তৈরি করা সম্ভব মজাদার স্বাদের সব মিষ্টি। রইলো ক্ষীরকদম তৈরি করার রেসিপি-
উপকরন : ১ লিটার দুধ, ৫০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর/মাওয়া, ২ কাপ চিনি, গুঁড়ো চিনি আন্দাজ মতো, গুঁড়ো দুধ আন্দাজ মতো, লাল ফুড কালার খুব সামান্য, ২ টেবল-চামচ ভিনিগার।
রসগোল্লা তৈরি : প্রথমে একটি প্যানে দুধ দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। এরপর দুধ গরম হয় ফুটে উঠলে তাতে এক থেকে দুই টেবিলচামচ ভিনেগার দিয়ে দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। এরপর এই ছানা একটি পাতলা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে ঢেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন যাতে ভিনেগারের গন্ধ না থাকে। তারপর পাতলা কাপড়ে বেঁধে তা খানিকক্ষণ টাঙিয়ে রাখুন যাতে ছানা থেকে ভালো করে পানি ঝরে যায়। পানি ঝরানো শেষ হলে সামান্য ফুড কালার মিশিয়ে ছানা হাত দিয়ে মসৃণ করে মাখতে থাকুন। মাখানো ছানা দিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। বল বানানোর সময় লক্ষ রাখবেন যাতে বলগুলো মসৃণ হয়, ফেটে না যায়। এরপর একটি প্যানে ১ কাপ চিনি ও ৩ কাপ পানি দিয়ে পাতলা করে চিনির শিরা তৈরি করে নিন। শিরা ঘন করবেন না। এবার ছানার বলগুলো ফুটন্ত শিরায় আলতো করে ছেড়ে মাঝারি তাপমাত্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। ২০-২৫ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এতে করে তৈরি হয়ে যাবে রসগোল্লা।
ক্ষীরকদম তৈরি : রসগোল্লা বানানো হয়ে গেলে তা তুলে নিন শিরা থেকে। এরপর ওই শিরায় আরও এক কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে শিরা ঘন করে নিন। শিরা ঘন হয়ে গেলে রসগোল্লাগুলোকে আবার শিরায় দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এরপর আধা ঘণ্টা পাত্রটিতে ঢাকনা দিয়ে রেখে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে এলে মিষ্টিগুলো শিরা থেকে তুলে একটি ছড়ানো প্লেটে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে করে রসগোল্লাগুলো হতে বাড়তি রস ঝরে যাবে। মাওয়া/খোয়া ক্ষীর ঝুরি করে নিন। একটি গ্রেটারে ঝুরি করে নিতে পারেন। এরপর এতে ২ থেকে ৩ টেবল-চামচ গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন যাতে মাওয়াতে কোনো দলা না থাকে। এরপর প্রতিটা রসগোল্লা চিনি মাখানো মাওয়াতে মাখিয়ে গোল করে সাইজ করে নিন। তারপর গুঁড়ো দুধে ভালো করে গড়িয়ে নিয়ে একটি প্লেটে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন খুব মজাদার মিষ্টি ‘ক্ষীরকদম’।
এইচএন/পিআর