কম খরচেই রূপচর্চার উপায়
রূপচর্চার যেসব উপাদান বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, তা খুব একটা সুলভ মূল্যে মেলে না। তারপর আবার সেই জিনিসটির মান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, এসব বিষয় নিয়ে তো প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই ত্বকের যত্নে সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো ভেষজ পদ্ধতি। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, ত্বকের যত্নে কার্যকর, খরচও নেই বললেই চলে। চলুন, কয়েকটি উপায় জেনে নিই-
আমলকী :
আমলকী খেলে রুচি বাড়ে। চুল পড়াও বন্ধ হয়। বৃদ্ধি পায় ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা। আমলকীর গুঁড়া ও তিলের তেল মিশিয়ে মুখে মাখলে শুষ্ক ত্বক কোমল ও ফর্সা হয়। চুলে আমলকীর রস এক ঘণ্টা লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে চুলের অকালপক্বতাও দূর হয়।
অ্যালোভেরা :
এক চামচ ইসবগুলের ভুসি ও দুই চামচ অ্যালোভেরার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বাড়তি মেদ কমবে, দূর হবে বাতের ব্যথাও। অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ভালো চুল গজাবে। অ্যালোভেরা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
তিল :
তিলের তেল মাথায় মাখলে চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল কালো হবে, দূর হবে ত্বকের দাগ। তিলের তেল খেলে বাতের ব্যথাও দূর হয়। তিলের সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়।
কাঠবাদাম :
কাঠবাদামের সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে ত্বকে মাখলে ত্বকে উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা আসে। কাঠবাদামের পাতা বেটে ত্বকের আক্রান্ত অংশে মাখলে অ্যালার্জি দূর হবে।
লবঙ্গ :
মুখে ব্রণ থাকলে লবঙ্গ গুঁড়া করে ব্রণের ওপর মাখুন। এতে ব্রণ অনেকটাই কমবে।
মেথি :
মেথি বেটে চুলে মাখলে চুল পড়া কমে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
এইচএন/এমএস