শরীর ও মন সুস্থ রাখতে কিছু ব্যায়াম
শরীর ও মন সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য এখানে পাঁচটি ব্যায়ামের কথা বলা হল।
দ্য পাপ্পি ডগ স্ট্রেচ: প্রথমে, হাঁটু ভাজ করে মেঝেতে বসুন। এরপর, দুই হাত সোজাসুজি দুই কানের পাস দিয়ে তুলুন। এইবার ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে ঘাড় মাথা পিঠ সোজাসুজি রেখে। হিপ ও হাঁটু একদম সোজা থাকবে। কোমর কোনমতেই পিছনের দিকে হেলবে না। শ্বাসপ্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক।
উপভিস্তা কনাসন: এই আসনটি করা খুব একটা সহজ নয়। প্রথমে মেঝেতে বসুন। এরপর ডান পা, ডান হাত বড়াবড় প্রসারিত করতে হবে। বাম পা, বা হাত বড়াবড় প্রসারিত করতে হবে। এক দু দিনে সম্পূর্ণ প্রসারণ সম্ভব নয়। যারা নাচ শেখেন তাঁদের ক্ষেত্রে এটি করা সহজ। দুই পা প্রসারণের পর শরীরের উপরের অংশকে সামনের দিকে কিছুটা ঝুকিয়ে আনতে হবে।হাত দুটোকে প্রণামের ভঙ্গিতে কনুই সমেত মেঝেতে ঠেকাতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
সুখাসন: সকালবেলা এই যোগা করা খুব আদর্শ। ঘাড় মাথা পিঠ সোজা রেখে বসতে হবে। পা সামনের দিকে ক্রস করে ভাজ করে বসতে হবে। দুই হাত, দুই পায়ের হাঁটুর উপর টানটান করে রাখতে হবে। মেডিটেশন করার মতো। এভাবেই কিছুক্ষণ থাকতে হবে। এই যোগা করলে মন শান্ত হয়। একাগ্রচিত্ত হয়।
দ্যা কামেল পোজ: এই আসনটি অনেকটা উটের মতো। প্রথমে হাঁটু ভাজ করে সোজাসুজি বসতে হবে। এরপর হাঁটুর উপর ভর রেখে শরীরের উপরের অংশ সোজা করে রাখতে হবে। ঠিক এরপর পিঠ ঘাড় মাথা পিছনের দিকে হেলাতে হবে। হাত পিছন দিক থেকে নিয়ে গোড়ালি স্পর্শ করতে হবে, এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকতে হয়। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
দ্যা আপয়ার্ড: ফেসিং প্যাঙ্ক: প্রথমে মেঝেতে শুয়ে পরুন চিত হয়ে।এরপর, দুই হাত মেঝেতে ভর করে সম্পূর্ণ শরীরকে যতটা সম্ভব উপরে তুলুন। পা আর হাতের উপর সমস্ত ভর দিয়েই শরীরকে বালান্স করে ঢোড়ে ড়াখটে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক।