শিশুর হাত-পায়ের যত্ন
আদর্শ মা-বাবার দায়িত্ব শিশুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। আর হাত ও পায়ের সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুদের অনেক ধরনের রোগ বালাই থেকে দূরে রাখার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। শিশুর হাত পায়ের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে পারলে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
আরও পড়ুন : শিশুর জ্বর হলে করণীয়
যেকোনো কিছু খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধোয়া একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাওয়ার সময় হাতের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনেক ধরণের জীবাণু আমাদের পেটের মধ্যে খুব সহজেই চলে যেতে পারে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
হাত ও পায়ের যত্নে বাচ্চাদের প্রতিদিন অবশ্যই একবার অন্তত ভালোভাবে সাবান বা বডি ওয়াশ দিয়ে গোসল করাতে হবে। গোসলের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন হাত ও পা ভালোভাবে পানি দিয়ে ধোয়া হয়। নিয়মিত গোসল করানোর মাধ্যমে শিশুর ত্বক হবে মসৃণ। হাত ও পা থাকবে পরিষ্কার।
অপরিষ্কার নখে থাকে অনেক ধরণের রোগের জীবাণু যা খাওয়ার মধ্য দিয়ে শিশুদের পেটের মধ্যে চলে যেতে পারে। তাই বাবা-মাকে শিশুদের নখের যত্নের প্রতি যথেষ্ট সজাগ থাকতে হবে। শিশুদের বাড়ন্ত নখ প্রতিদিন কেটে দিতে হবে। যেহেতু শিশুরা নিজে নিজে নখ কাটতে পারবে না, তাই বাবা-মাকে এর যত্ন নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে বাচ্চার নখ খুব বেশি লম্বা হতে না পারে এবং নখের ভেতর কোন রকম ময়লা আটকে না থাকে।
হাত ও পায়ের যত্নে বাজারে বিভিন্ন ধরণের তেল বা ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায়। ভাল ব্র্যান্ড দেখে বাচ্চাদের উপযোগী পণ্য ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত তেল বা ক্রিম ব্যবহারে বিভিন্ন ধরণের জীবাণু থেকে হাত পায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
আরও পড়ুন : এ সময়ে শিশুর সুস্থতা
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালভাবে হাত পা ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি অভ্যাস। এতে করে শরীরের মধ্যে একধরণের শ্রান্তির ভাব আসে যা রাতে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের সহায়ক।
ঋতুভেদে হাত পায়ের যত্নের ধরণও কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন শীতকালে হাত ও পা অনেকটাই রুক্ষ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় হালকা গরম পানিতে হাত-পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে হাত ও পায়ের শুকনোভাব দূর হবে।
এইচএন/আইআই