দূর করুন জীবনের একঘেয়েমি
জীবনে চলার পথে অনেক সময় একঘেয়ে চলে আসে। প্রতিদিনের গতানুগতিক জীবন ধারায় অনেকেই বিরক্ত হয়ে পরেন। আর কোনো না কোনো সময়ে প্রায় প্রতিটি মানুষই নিজের প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবন-যাপনে বিরক্ত হয়ে যায়। আর প্রাত্যহিক জীবনের এই বিরক্তি থেকে নানান রকম হতাশা ভর করে বসে মনে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কিছুই আর ভালো লাগে না । এ ধরণের পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য প্রয়োজন কিছু পরিবর্তনের। আর এই পরিবর্তনটা শুধু মাত্র আপনি নিজেই নিয়ে আসতে পারবেন।
সাজ-পোশাকঃ
আপনি প্রতিদিন যে পোষাক গুলো পরে থাকেন, সেগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসুন। যারা হালকা রঙের পোশাক পরেন সব সময়, তারা নিজের সাথে মানানসই বেশ রংচঙে পোশাক পরতে পারেন। আর যারা এমনিতেই রংচঙে পোশাক পরেন, তারা পোশাকের সাথে একটি রঙিন মালা কিংবা ব্যাগ নিয়ে নিন। কিংবা কিছুদিন হালকা, নরম রঙ গুলো পরিধান করুন। সঙ্গে থাকতে পারে স্টাইলিশ জুতো। অন্যদিনের চাইতে নিজেকে একটু আলাদা ভাবে সময় নিয়ে সাজান। পারফিউমের ব্র্যান্ডও বদলে নিতে পারেন নতুনত্ব আনতে। মোদ্দা কথা, নিজেকে যখন আয়নায় দেখতে অন্যরকম লাগবে। দেখবেন মনের একঘেয়েমিও কাটতে শুরু করেছে।
চুলের স্টাইলঃ
চুলের স্টাইল পরিবর্তন করলে নিজের চেহারায় অনেকখানি পরিবর্তন আসে। আর চেহারায় পরিবর্তন নিয়ে আসলে প্রতিদিনের একঘেয়ে ভাব অনেকটাই কমে যায়। তাই একঘেয়েমি দূর করতে মানানসই নতুন হেয়ার কাট দিন। চাইলে চুলের কিছু অংশ রাঙিয়েও নিতে পারেন হাইলাইটস করে। ছেলেরা জেল দিয়ে এক এক দিন এক এক ভাবে চুল সেট করে নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাসঃ
খাদ্যাভ্যাস এমন একটি বিষয় যা থেকে সহজে বের হওয়া যায় না। প্রতিদিনের একই ধরণের খাবারের মেন্যু বেশ বিরক্তিও সৃষ্টি করে। তাই প্রাত্যহিক একঘেয়েমি দূর করতে খাবার তালিকা ও খাওয়ার অভ্যাস বদলে ফেলুন। অনেক ভাজা-পোড়া খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেই অভ্যাস বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সকালে গতানুগতিক রুটি ভাজি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা বদলে পাউরুটি, ডিম ও ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন। রাতের খাবারে ভাতের বদলে সুস্বাদু সালাদ খেতে পারেন। তাহলে প্রতিদিনের খাবারের একঘেয়েমি কেটে যাবে। আর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে শরীর সুস্থ ও ঝরঝরে হয়ে উঠলে মনটাও লাগবে ফ্রেশ!
নতুন বন্ধুঃ
একঘেয়েমি দূর করার একটি কার্যকরী উপায় হলো নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া এবং নতুন বন্ধু বানানো। সামাজিক সাইটগুলোতে কিংবা কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিসে নতুন নতুন মানুষএর সাথে পরিচিত হোন। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হয়ে আড্ডা দিলে একঘেয়েমী কেটে যায় এবং জীবনে নতুনত্ব আসে।
বেড়াতে যাওয়াঃ
জীবনটাকে অনেক বেশি একঘেয়ে মনে হলে ঘুরে আসুন দূরের কোনো সুন্দর যায়গা থেকে। আপনার অনেক প্রিয় কোনো স্থান অথবা অদেখা কোনো যায়গা থেকে প্রিয় মানুষদেরকে নিয়ে অথবা একাই ঘুরে আসুন। তাহলে জীবনের একঘেয়েমি কেটে যাবে এবং জীবনটাকে আনন্দময় মনে হবে।