নিমেষেই নরম কোমল হাত
হাত কি খসখসে হয়ে যাচ্ছে? আগের মতো হাত আর নরম নেই? তাহলে উপায়? উপায় অবশ্যই আছে। মহিলারা যেহেতু রান্নাঘরটা সামলান, তাই তাঁদের হাতই বেশি অমসৃণ হয়ে পরে, নানান কাজের জন্য। কিন্তু, ওই রান্নাঘরেই আছে হাত কোমল রাখার উপাদান। চলুন জেনে নিই, হাত কী ভাবে নরম ও মসৃণ রাখবেন।
প্রতিদিন অন্তত চার থেকে পাঁচ বার হাত পরিস্কার করা উচিৎ। হাতে সাবান লাগানোর পর মশ্চারাইজার বা লোশন ব্যাবহার করুন। হাতকে শুস্ক রাখার চেস্টা করুন। কোমল ও মসৃণ হাতের জন্য, এক টেবিল চামচ গুড়োঁ দুধ, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ভাল ভাবে মিশিয়ে হাত পায়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এতে হাত নরম ও মসৃণ হয়। রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সম্পূর্ণ হাতে সান্সস্ক্রিন লোশন ব্যাবহার করা উচিৎ। এতে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে হাতের ত্বককে রক্ষা করবে। স্নানের আগে অলিভ অয়েল ও বাদাম তেল হাতে ভাল ভাবে মালিশ করে নিতে পারেন। এতে হাত ভাল থাকবে। স্নানের শেষে কোনো হ্যান্ড লোশন কিংবা একটু গ্লিসারিন সমপরিমাণ জলের সাথে মিশিয়ে হাতে মেখে নিতে পারেন।
অনেকের কনুইয়ে কালো ছাপ পড়ে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষে নিলে দাগ উঠে যাবে।এছাড়াও, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ শশার রসের সাথে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে হাতে লাগিয়ে নিন।
এরপর এটি শুকিয়ে গেলে ভাল করে জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এতে হাতের কালো দাগ দূর হয় এবং হাত কোমল হয়। ঘরে মাখন বা টকদই থাকে, তাই, এক-দুই চামচ মাখন অথবা টক দই এর সাথে এক চামচ চিনি মিশিয়ে ভালভাবে ফেটিয়ে নিন। এবার এই পেষ্টটা দিয়ে ভালভাবে দুই হাত কনুই পর্যন্ত মাস্যাজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে হাতের চামড়া অনেক নরম হয়।
এই প্যাকটি শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। সম পরিমাণ লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে হাতে পায়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া,কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে সেটা গুঁড়ো করে কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে হাতে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।