ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

নিজের খেয়াল রাখুন

হাবীবাহ্ নাসরীন | প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৭

আপনি বেশ হাসিখুশি মানুষ। সবাই আপনাকে সারাক্ষণ হাসতে দেখে। গল্প, গান, আনন্দ, আর হাসিতে চারপাশ আপনি ভরিয়ে তোলেন। তবু দিনশেষে যখন নিজের সঙ্গে দেখা হয়, নিজেকে ভীষণ একা লাগে কি? কখনো কি মনে হয়, আমার মতো করেই কেউ আমাকে আনন্দে রাখুক, আমার খেয়াল রাখুক? মনের মতো বন্ধু খুঁজে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। সেরকম একজন বন্ধু আপনার নাইবা থাকলো! আপনি নিজেই কিন্তু হতে পারেন নিজের ভালো বন্ধু। সবার জন্য সময় দেয়ার পাশাপাশি নিজের জন্যও রাখতে হবে কিছুটা সময়। খেয়াল রাখতে হবে নিজেরও।

সতেজ থাকুন
দিনভর সতেজ থাকার অভ্যাস করুন। হাজারটা কাজের চাপ, ব্যস্ততা থাকবেই। কিন্তু নিজেকে ক্লান্ত হতে দেয়া চলবে না। কখনো ক্লান্তি এলে তা দূর করার ব্যবস্থাও রাখতে হবে। সেজন্য কাজের সময়টা হেলায় না কাটিয়ে কাজটুকু সেরে নিয়ে বাকি সময় নিজেকে দিন। তাজা আর পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি বেশি পান পান করুন। এটি আপনাকে ভেতর থেকে নিরোগ থাকতে সাহায্য করবে। খাওয়া নিয়ে একদমই অনিয়ম করবেন না। কারণ ক্ষুধার্ত মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। আর তার প্রভাব পড়ে বাকি কাজগুলোতেও।

অবসর
চেষ্টা করুন অবসর সময়টুকু নিজের মতো করে কাটাতে। যদি আপনার মনে হয় ঘুমিয়েই অবসর কাটাবেন, তবে তাই হোক! বন্ধুরা জোর করলো বলে ঘুরতে চলে গেলেন- এমনটা যেন না হয়। এতে করে হিতে বিপরীত হয় অনেক সময়। মনটা যদি বেয়ারাও হয়, তবু মনকে পাত্তা দিয়ে চলুন। তবে খেয়াল রাখবেন, এভাবে যেন আবার ঘরকুনো না হয়ে যান! কারণ নিঃসঙ্গতার অভ্যাস ভয়াবহ। মানুষকে বাঁচতে হয় সঙ্গী নিয়েই।

প্রিয় কাজ
নিজের ভালোলাগার জন্য হলেও প্রিয় কাজগুলো করুন। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই তা যেন ইতিবাচক হয়। অনেকেই হয়তো আপনাকে বলবে, এভাবে না, ওভাবে না। আপনি যদি জানেন যে আপনি সঠিক কাজটাই করছেন তবে নিশ্চিন্ত থাকুন। আর নিজের মতো করে কাজ করে যান। আপনার কাজটি যেভাবে করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য, সেভাবেই এগিয়ে যান। যেন নিজের কাছে অন্তত দায়বদ্ধতা না থাকে।

সম্পর্ক
সম্পর্কগুলোর যত্ন নিন। যারা আপনার কাছের মানুষ, চেষ্টা করুন তাদের সময় দিতে। তাদের ভালো-মন্দ সব বিষয়ে খোঁজ রাখুন। যদি প্রয়োজন হয়, তাদের পাশে দাঁড়ান। প্রিয় সম্পর্কগুলো বাঁচিয়ে রাখুন ভালোবাসায়। আপনার অবহেলা কিংবা বেখেয়ালে সম্পর্কগুলো যেন না হারায়। কারণ একা হয়ে গেলে মানুষের বেঁচে থাকাটা পানসে হয়ে যায়। নিজের জন্য হলেও প্রিয় মানুষগুলোর খেয়াল রাখা জরুরি।

এইচএন/আইআই

আরও পড়ুন