বেশি ঘুমালে যে ক্ষতিগুলো হয়
আমাদের সুস্থতার জন্য ঘুমের চেয়ে প্রয়োজনীয় আর কিছু নেই। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব পড়ে পরেরদিনের সব কাজে। প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য জরুরি। অনেকে রাত জেগে কাজ করে দিনে ঘুমান। এটিও আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনেকের অভ্যাস আবার বেশি সময় ধরে ঘুমানোর। এর কোনোটাই আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনে না। কেউ কেউ মনে করে থাকেন, ঘুম বেশি হলে তা বুঝি আমাদের শরীরের জন্য ভালো। অতিরিক্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য কখনোই ভালো নয়। এটি ভীষণ ক্ষতিকর।
২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ায় প্রাপ্তবয়স্ক যমজদের উপর একটি গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা যায় দীর্ঘ সময় ঘুমালে বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ে। ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের ২৭ ভাগের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা গেছে। আর যারা ৯ ঘণ্টা বা বেশি ঘুমিয়েছেন তাদের ৪৯ ভাগে বিষণ্নতার লক্ষণ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : টাক সমস্যার সহজ সমাধান
বেশি ঘুমানোর সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। যারা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমান ৬ বছরের মধ্যে তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে যারা ৭-৮ ঘণ্টার মতো ঘুমান তাদের শরীর কম ঝুঁকিতে থাকে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে বয়স্ক নারীদের মধ্যে যারা কম বা বেশি ঘুমান, তাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বেশি ঘুমানোর কারণ ৬ বছরের মধ্যে ওজন বেড়ে যেতে পারে। যারা ৯-১০ ঘণ্টা ঘুমান তাদের ২৫ ভাগের ওজন বেড়েছে। এমনকি খাবার গ্রহণে সতর্কতা ও শারীরিক কসরত সত্ত্বেও স্থূলতা রোধ করা যায়নি।
যারা প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি ঘুমায়, উভয়পক্ষেই মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। ১৪ লাখের কাছাকাছি ব্যক্তির উপর পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বেশি ঘুমানোর ফলে (৮ ঘণ্টার বেশি) এ ঝুঁকি বাড়ে ১.৩ ভাগ।
আরও পড়ুন : হবু মায়ের খাবার
যারা রাতে ৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমায় তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। যারা কম ঘুমায় তাদের চেয়ে এদের টন্সিলাইটিসের ঝুঁকি দ্বিগুণ ও করনারি আর্টারির ঝুঁকি ১.১ গুণ। যা কম বয়সে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এইচএন/এমএস