দাগমুক্ত মুখ পেতে যা করবেন
মুখ দাগমুক্ত রাখতে আমাদের নানারকম প্রচেষ্টা থাকে। তবু চোখের নিচের কালো দাগ, ব্রণ, মেছতার দাগ যেন কিছুতেই দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। চোখে কালি, ব্রণ বা মেস্তার দাগ, ব্ল্যাকহেডস জমে যাওয়াসহ নানা কারণে মুখের কোনো কোনো অংশের রং পরিবর্তিত হতে দেখা যায়। তাই চলুন কিছু উপায় যেন নেই যেগুলো মেনে চললে আপনার মুখ থাকবে দাগহীন।
চোখের কালি দূর করতে শসা বা আলু ছেঁচে চোখের ওপর ২০ মিনিট রেখে দিন। ব্যবহৃত টি ব্যাগ কিছুক্ষণ চোখের ওপর রেখে দিলেও কাজে দেবে। বাঁধাকপি সেদ্ধ করে তার পেস্টও চোখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। পেস্তাবাদাম বাটার সঙ্গে অল্প মধু লাগিয়ে ব্যবহার করলেও চোখের কালি দূর হয়। করলা হালকা ছেঁচে চোখের ওপর দিয়ে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ত্বক পরিষ্কার রাখার প্রাকৃতিক উপায়
মুখে ব্রণের কালো দাগ দূর করতে কাঁচা ব্রণে সমপরিমাণ লবঙ্গ, তুলসিপাতা, নিমপাতা, পুদিনাপাতা একসঙ্গে পেস্ট করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে সেখানে দাগ হবে না। শুষ্ক ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গ তেল খুব উপকারী। ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পর মুখে চিনি আর দারুচিনি বাটা একসঙ্গে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। লবঙ্গ বা দারুচিনি ত্বকে লাগানোর পর একটু জ্বালা করবে, এতে কোনো ক্ষতি নেই।
মেস্তার দাগ দূর করতে অ্যালোভেরা জেল বের করে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তালমাখনা অথবা ইসবগুলের ভুষি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। থকথকে হয়ে যাওয়ার পর মুখে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন।
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে টমেটোর রস এবং মধু ব্যবহার করতে পারেন। গাজর, মধু এবং বেকিং পাউডারের মিশ্রণও কার্যকরী। শুষ্ক ত্বকে তিলের তেল ভালোভাবে কিছুক্ষণ মালিশ করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: ত্বক ও চুলের যত্নে পেঁপে
ব্ল্যাক হেডস দূর করতে পোলাওয়ের চাল ও মুগ ডাল আধা ভাঙা করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর যেসব জায়গায় ব্ল্যাক হেডস বেশি, সেখানে হালকা ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। সুজি হালকা ভেজে নিয়ে তার সঙ্গে টকদই ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিমের সাদা অংশ ও বেকিং সোডার মিশ্রণ মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর টিস্যু পেপার দিয়ে চাপ দিলেও ব্ল্যাক হেডস সহজে উঠে আসে। লেবুর রস আর চিনি জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে স্ক্রাবিং করে নিন। এরপর পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে মুখে হালকা চাপ দিয়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে নিতে পারেন।
এইচএন/পিআর