বাহারি খোঁপা

একসময় নারীদের কেশবিন্যাসে খোঁপার বাহার ছিল দেখার মতো। বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়ে তোলা হতো খোঁপা। কাজী নজরুল ইসলামও মেয়েদের চুলের খোঁপা নিয়ে গান-কবিতা লিখেছেন; মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী দেবো খোঁপায় তারার ফুল অথবা আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন/দিল ওহি মেরা ফাস গেয়ি। আগের দিনে চুলসজ্জার ক্ষেত্রে পরিপাটি করে চুল বাঁধা মানেই যেন খোঁপা করাকে বোঝানো হতো। যার যত বড় খোঁপা, তার গরিমা তত বেশি এ রকম একটি ভাবনাও কাজ করত। এখনকার ফ্যাশনে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা, টি-শার্ট-জিনস সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই খোঁপা করা যাবে। এখানে বাধা হিসেবে কাজ করবে না বয়সটিও। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাই এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। আর সেই সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে আমাদের সাজ ও পোশাকেও। পরিবর্তনের ধারার সঙ্গে মিল রেখে নিচে কয়েক ধরনের খোঁপার ডিজাইন দেওয়া হলো

রিং খোঁপা : সাইড সিঁথি করে চুল আঁচড়ে নিন। খোঁপাটা যেহেতু ওপরের দিকে হবে, তাই সামনের চুল মুখের সঙ্গে মানিয়ে সেট করুন। এবার বাকি চুল পনিটেল করে বেঁধে নিন। বাঁধা চুল পাঁচটি ভাগে ভাগ করুন। একেকটি ভাগ ধরে গোল করে পেঁচিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকান।

র‌্যাফেলস বান : র‌্যাফেলস বান বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। নরমাল র‌্যাফেলস, ক্রস র‌্যাফেলস, ভ্যালেন্টাইনস র‌্যাফেলস ইত্যাদি। নরমাল র‌্যাফেলস বানের ক্ষেত্রে পেছনের সব চুল একপাশে নিয়ে পেছনের দিকে ক্লিপ দিয়ে চুলগুলোকে আটকান। আটকানোর পরে বাকি চুলগুলো পেছনের দিকে এনে যে পাশে ক্লিপ লাগানো ছিল, সে পাশে ভেতরের দিকে পেঁচিয়ে কাঁটা দিয়ে সেট করুন। সেট করার সময় ওপরের দিকে একগুচ্ছ চুল বের করে রাখুন। এ চুল সুন্দর করে হেয়ার স্প্রে দিয়ে সেট করতে হবে। টিনএজাররা ফরমাল লুক বা ঘরোয়া পার্টিতে এ বান করতে পারেন। এ ছাড়া মধ্যবয়স্ক ও বয়স্করা বিয়ে বা অন্যান্য পার্টিতে শাড়ির সঙ্গে অনায়াসে এ বানটি করে নিতে পারেন।

ওয়ান ম্যান বা প্লেন বান : খোঁপাটা যেহেতু গোল, তাই মাথার সামনের চুল ফুলিয়ে নিন। সামনের চুলগুলোতে চেহারার গড়ন অনুযায়ী সেট করুন। ইচ্ছে করলে বেণি করেও নিতে পারেন। এবার পেছনে সব চুল রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে নিন। আটকানো সব চুলের এক পাশে একটু চুল রেখে বাকি চুল দিয়ে সাধারণ হাতখোঁপা করুন। এবার খুলে রাখা বাকি চুল দিয়ে খোঁপার ওপর দিয়ে ঢেকে ক্লিপ লাগিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন চুল যেন ভালো করে আটকানো হয়। প্রয়োজনে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে একটু শক্ত করতে পারেন।

বিড়া খোঁপা : সাইড সিঁথি করে চুল আঁচড়ে নিন। সামনের চুল মুখের সঙ্গে মানিয়ে সেট করুন। এবার বাকি চুল পনিটেল করে বেঁধে নিন। বাঁধা চুলগুলো ৩ ভাগে ভাগ করুন। প্রতি ভাগ চুল ধরে গোল করে পেঁচিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকান। এমনভাবে আটকাতে হবে যেন এক ভাগের পাশাপাশি আরেক ভাগ থাকে। ইচ্ছে করলে খোঁপার মাঝখানে কাঁটা ব্যবহার করতে পারেন।