যেমন পোশাক তেমন সাজ
স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ইচ্ছেমতো পোশাক পরলেও সব জায়গায় সব ধরনের ড্রেস পরে যাওয়া ঠিক না। যেমন ক্লাসে বা অফিসে নিশ্চয়ই গাউন পরে কেউ যেতে চাবে না। সময় এবং স্থান বুঝেই পোশাকটি বেছে নিতে হয়। ক্লাস কিংবা বাইরের কাজে জিন্স, টি-শার্ট পরতে পারেন। অফিসের জন্য ফর্মাল শার্ট-প্যান্ট ও মানানসই। বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা চা-এর দাওয়াতে জিন্স, টপস বা কুর্তি অনেককেই ভালো মানাবে। আবার জমকালো কোনো পার্টিতে একটু ভারি গাউন হলে দারুণ জমে যাবে। পোশাকের সঙ্গে সাজটিও হতে হবে মানানসই।
আরও পড়ুন: বাদল দিনের সাজ
পোশাকের ধরনের পাশাপাশি মেকআপ হতে হবে দিন-রাতের ওপর নির্ভর করে। দিনেরবেলায় ক্যাজুয়াল ড্রেসের মেকআপ খুব সাদামাটা হওয়া চাই। বিশেষ করে বেস মেকআপটা একটু হালকাই মানাবে আধুনিক পোশাকের সঙ্গে। হালকা সাজের মধ্যে পাউডার-কাজল ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটে হালকা গোলাপি বা বাদামি গ্লস লাগাতে পারেন। ম্যাট লিপস্টিকও লাগাতে পারেন। রাতের পার্টি হলে লাল, গোলাপির মতো উজ্জ্বল রং বা নুড কালারের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
ফর্মাল পোশাক পরলে মেকআপে একটা মিশ্রভাব থাকতে হবে। প্রথমে ফাউন্ডেশন দিন। তৈলাক্ত ত্বকে ম্যাট আর শুষ্ক ত্বকে অয়েল বেজড ফাউন্ডেশন দিন। আইশ্যাডো ব্যবহার করতে হলে মোটা করে আইলাইনার দিতে পারেন। চোখের মেকআপ গাঢ় করলে ঠোঁটে লিপস্টিক হালকা দেবেন। চোখের সাজ হিসেবে স্মোকি আই খুব মানায়। তবে তা কোনো পার্টি কিংবা দাওয়াতে ভালো লাগবে, অফিস বা কাজের ক্ষেত্রে নয়। চোখকে স্মোকি সাজ দিতে চাইলে বেছে নিতে হবে ব্রাউন, ব্লাক, অ্যাশ কালারের আইশ্যাডো। ব্লাশঅনটাও হতে পারে বাদামি রঙের।
আরও পড়ুন: কেমন হবে কৈশোরের সাজ-পোশাক
পশ্চিমা যে কোনো পোশাকের সঙ্গে পনিটেল খুব মানানসই। গাউন পরলে চুলে ব্যাঙ্গসটা খুব মানায়। যে কোনো পার্টি সাজের জন্য চুলে ব্যাঙ্গস করা যেতে পারে। এছাড়া ক্যাজুয়াল বান অথবা কার্ল রিং বান, যেভাবে আপনার পছন্দ চুলগুলোকে বেঁধে নিন। চাইলে চুল ছেড়েও রাখতে পারেন। চুলে ভুল করেও ফুল দেবেন না। পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে ফুল একদমই মানায় না।
এইচএন/পিআর