বর্ষায় যা খাবেন
বর্ষাকালে হুটহাট অসুখ এসে হানা দিতে পারে। কারণ বর্ষাকালে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে বেশি যা থাকা প্রয়োজন তা হলো ভিটামিন। তাই চলুন জেনে নেই, বর্ষাকালে খাদ্যতালিকায় কোন খাবারগুলো রাখবেন।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ফ্লাভনয়েড। যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে দারুণ কাজ করে। গরম পানিতে লেবুর খেলে বর্ষাকালে অনেক রোগের প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পেঁপেতে ভিটামিন সি যেমন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, তেমনই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে হজম ক্ষমতা বাড়াতে, ইমিউনিটি বাড়াতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এসময় খাবারের তালিকায় রাখুন পেঁপে।
স্বাস্থ্যকর সবুজ শাক হলো পালং। ভিটামি ই-এর পাশাপাশি পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবারে পরিপূর্ণ পালং শাক। যা রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
গাজরের মধ্যে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা আমাদের শরীরে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। ভিটামিন এ শুধু দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেই নয়, ত্বক ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে।
ডিম ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেলে পরিপূর্ণ। সুস্থ থাকতে সব সময়ই ডিম ডায়েটে থাকা উচিত। বর্ষা কালে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে, তখন ডায়েটে অবশ্যই রাখুন ডিম।
দইয়ে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি১২ রয়েছে। যা রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ানোর অন্যতম উপাদান। এর অভাবে ক্লান্তি, দুর্বলতা, খিদে কমে আসার সমস্যা দেখা দেয়।
মুরগির মাংসে রয়েছে ভিটামিন বি৬। পানিতে সলিউবল এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকায় ব্রকোলি ফ্যাট সলিউবল, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি টিস্যুর ক্ষয় রুখতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেলের পরিমাণ বেশি হলেও লিন রেড মিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, মিনারেল ও ভিটামিন বি ১২ রয়েছে। যা রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে যা শরীরে সলিউবল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়াও প্রোটিন ও ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে আমন্ড খেলে পেটও ভরা থাকে অনেক ক্ষণ।
এইচএন/জেআইএম