ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

যে কারণে ইফতারে নাশপাতি খাবেন

প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ১৯ জুন ২০১৭

ইফতারে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারের থেকে তাজা আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উত্তম। আর সে হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল রাখা যেতে পারে ইফতারের তালিকায়। খেজুর, শসা, কমলা, মাল্টার পাশাপাশি যে ফলটি বেশি থাকে আমাদের ইফতারের থালায় সেটি হচ্ছে নাশপাতি। টক-মিষ্টি স্বাদের এই রসালো ফলটি অনেকেরই প্রিয়। চলুন জেনে নেই ইফতারে নাশপাতি কেন রাখবেন।

চীনে ফুসফুসের চিকিৎসায় নাশপাতি ব্যবহার করা হয়। নাশপাতির জুস গলা পিচ্ছিল করে, কফ এবং ভাইরাল সংক্রমণ কমায়।  অনেকেই মনে করেন, গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে ফুসফুসে কফ জমে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। নাশপাতিতে এ্যান্টিঅক্সিজেন গ্লোটাথায়ন থাকার কারণে এটি গলাকে পিচ্ছিল করে এ ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

shorishar

ফলের ক্যালোরি প্রাকৃতিক চিনি থেকে আসে। এদিক থেকে পুরোপুরি নিরাপদ নাশপাতি। এটা সর্বনিম্ন ক্যালোরির ফল। রসাল একটি নাশপাতি থেকে গড়ে ১০০ ক্যালোরি মিলতে পারে, এর বেশি নয়।

অন্যান্য ফলের মতো নাশপাতিও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এই উপাদানের উপকারিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। বিভিন্ন রোগের আক্রমণ ঠেকাতে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে।

Nashpati

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন ‘সি’-এর কারসাজিতে কিন্তু দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বেড়ে যায়। এরা রক্তের শ্বেতকণিকার সংখ্যা ও কার্যক্রম বাড়ায়। এমনিতেই ঠাণ্ডা-সর্দি, ফ্লু ছাড়াও সাধারণ কিছু রোগ নাশপাতিই সামলে নিতে পারে।

উচ্চমাত্রার খনিজের তালিকায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম আর কপার। এসব উপাদান হাড়ের খনিজ হারানো রোধ করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।

যাদের দেহে প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি রয়েছে তারা নাশপাতির শরণাপন্ন হতে পারেন। কপার ও আয়রনের জন্য এই ফল আপনার দেহের জন্য দারুণ উপকারী।

এইচএন/আরআইপি

আরও পড়ুন