কাঁঠালের গুণাগুণ
আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এ ফলটি আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। কাঁঠাল সুগন্ধি, অতি সুস্বাদু, রসালো, পুষ্টিকর একটি ফল। কাঁঠালের বাকল, ভিতরে কোয়া ও বীজ সবই অত্যন্ত পুষ্টির খাবার। যা আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
বিশেষ করে শিশু, মা গর্ভবতী মহিলা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য কাঁঠাল খুবই প্রয়োজন। কাঁঠালে সব প্রকার ভিটামিন, খাদ্য শক্তি, খনিজ উপাদান, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক বিদ্যমান।
কাঁঠালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি বিদ্যমান। আমাদের দেহের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই প্রয়োজন। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত ও সুস্থ রাখে। কোষ বিভাজন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে। ক্যালসিয়ামের অভাবে “টিটেনি” নাম এক ধরনের রোগ দেখা দেয়। শরীরের মাংস পেশীতে ব্যথা অনুভূত হয় এবং তীব্র সংকোচন হয়। শেষ বয়সে হাড়ের ক্ষয় রোগ দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণের জন্য পটাসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে শরীরে রক্তচাপ কমে যায়, চুল পড়ে যায়, স্মৃতি শক্তিসহ মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া এটি এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। তাই এটি হাই গ্রেড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ইমিউনিটি বাড়ায়। কাঁঠালকে বলা হয় পাওয়ার হাউজ অব এনার্জি। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি থাকলেও স্যাচুরেটেড ফ্যাট তেমন একটা নেই।
কাঁঠালে উপস্থিত আঁশ হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ যা চোখকে বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
কাঁঠালে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টি এবং হাই ওয়াটার কনটেন্ট ত্বককে সতেজ রাখে।কাঁঠাল খেলে শরীরে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে এবং ক্যালিসিয়াম ক্ষরণ কম হয়। এছাড়াও এতে উপস্থিত পটাশিয়াম হাড় মজবুত করে।
রক্তশূন্যতায় কাঁঠাল বেশ উপকারী। কাঁঠাল শরীরে আয়রন তৈরিতে সাহায্য করে। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন ‘বি’ হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই গর্ভবতী নারী বা প্রসূতিরা কাঁঠাল খেলে উপকার পাবেন।
এইচএন/পিআর