উচ্চ রক্তচাপ হলে যা খাবেন না
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন সি ভোজনে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। যেমন কমলা, কিউই, ক্র্যানবেরি, পেয়ারা, আঙ্গুর এবং স্ট্রবেরি ফলের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই কমিয়ে থাকে। কিছু খাবার আছে যা উচ্চ রক্তচাপ ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে আর তাই আপনার রক্ত চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার খাদ্যে এই ধরণের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
টিনজাত খাবার লবণ দিয়ে সংরক্ষিত করা হয় এবং এতে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। টিনজাত খাবার, স্যুপ ঝোল এবং স্টক খুব খারাপ হতে পারে। জৈব খাদ্য যাতে কম সোডিয়াম আছে এমন খাবার বেছে নিন।
লবণ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ আক্রান্ত মানুষের জন্য খুবই খারাপ। আমেরিকানদের খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-হাইপারটেনশন ব্যক্তিদের সোডিয়াম ভোজন সীমিত করা উচিত। আপনার খাদ্যে অতিরিক্ত লবন যোগ এড়িয়ে চলুন।
লবণ ক্যানিং এবং লম্বা সময়ের জন্য সংরক্ষণের জন্য আচারে সংযোজন করা হয়। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাহলে খাদ্য তালিকা থেকে আচার বাদ দিয়ে দিন।
অত্যধিক চিনি খাওয়া শুধু ডায়াবেটিস ও স্থূলতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে তাই নয়, এটি আপনার রক্ত চাপ ও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ মাত্রাতিরিক্ত ওজনের এবং মোটা মানুষের মধ্যে বেশি প্রচলিত। সুতরাং, চিনি-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
গবেষকদের মতে, এক সঙ্গে তিন গ্লাস অ্যালকোহল পানে অস্থায়ীভাবে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাছাড়া, অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধগুলো প্রভাবিত করে।
মাংস নয় তবে মুরগীর চামড়ায় চর্বির মাত্রা বেশি থাকে যা রক্তচাপ প্রভাবিত করে। লাল মাংস এবং মাখন চর্বিতে পরিপূর্ণ যা রক্ত চাপ রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কফি বা ক্যাফেইনে যদি আসক্ত হন, তাহলে এই পানীয়কে বিদায় বলার সময় হয়েছে। কফি অস্থায়ীভাবে রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে।
এইচএন/জেআইএম