নখের ভঙ্গুরতা রোধে যা করবেন
অনেক সময় হঠাৎ করেই ভেঙ্গে যায় নখ। একটি আঙ্গুলের নখ ভেঙ্গে যাওয়া মানেই হাতের বাকি চার আঙ্গুলের নখও কেটে ফেলতে হবে। তাই নখ শক্ত করতে চাইলে জেনে নিন কিছু সহজ উপায়। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে নখ ভাঙ্গার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব-
১.অলিভ অয়েল তেলকে হালকা গরম করে নিন তারপর নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এতে আপনার নখ গুলো চকচকে হবে এবং এভাবে নিয়মিত করলে নখগুলো শক্তও হয়ে যাবে।
২. রান্না-বান্না, তরকারী কাটা কিংবা হাঁড়ি পাতিল ধোয়া যাই করুন না কেন অবশ্যই গ্লাভস পরে নিবেন। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেওয়া উচিত। এতে হাতে ময়লা লাগে না এবং নখে চাপ পরে না।
৩. যখনই সময় পাবেন নখে পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।
৪. সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দিন। এতে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৫. নির্দিষ্ট সময় পর পর সামান্য পরিমাণে হলেও নখ ছোট করুন। নখের কোণা ধারালো হয়ে গেলে নেইল ফাইলার দিয়ে ফাইল করে নিন। নিয়মিত নখ কিছুটা ছোট করে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভাঙ্গার প্রবণতা কিছুটা কমে যায়।
৬. দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকলে আজই ত্যাগ করুন। কারণ সব সময় দাঁত দিয়ে নখ কাটলে নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়। তাই নখ ভাঙ্গা রোধ করতে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
৭. প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে। খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন নিয়মিত। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।
৮. সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম পানিতে লবন মিশিয়ে নিয়ে আপনার নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। সব শেষে শুকনো করে মুছে নিয়ে গ্লিসারিন বা ভেসলিন ম্যাসাজ করে নিন।
এইচএন/এমএস