ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা

প্রকাশিত: ০৬:৪৫ এএম, ৩১ মে ২০১৭

পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি একটি শব্দ হচ্ছে মা। মায়ের কাছে একটি সন্তান যেমন তার জগৎ তেমনি সন্তানের কাছে তার মা-ই সব। আর এজন্য মা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটি সবচেয়ে মধুর। একটি সন্তান যখন ঠিক মতো খেতে পারে না কথা বলতে পারে না এমন কি নিজের কাজ নিজেও করতে পারে না তখন তাকে আগলে রাখেন মা। তার পরম মমতার চাদরের উষ্ণতায় তাকে বড় করে তোলে। সন্তানের সব আবদার মা হাসি মুখে মেনে নেয়।

শত কষ্টের মাঝেও মা তার সন্তানের গায়ে একফোঁটা আঁচড় লাগতেও দেয় না। সন্তানের হাসি যেন মায়ের হাসি হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে সন্তান বড় হয়ে মাকে নানাভাবে অবহেলা করে। তার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে মায়ের শেষ অবস্থান হয় বৃদ্ধাশ্রম। তাও যেন অভিশাপ দিতে নারাজ এই মা। যেন মমতার এই মূর্তি তার ভালোবাসা দ্যূতি ছড়াতে পারলেই তৃপ্ত। এরপরেও সন্তানের আর মায়ের মধ্যেকার ভালোবাসার তুলনা নেই। এখনো মাকে ভালোবাসে আর তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এমন সন্তানের অভাব নেই। তাদের ভালোবাসাতেই বেঁচে আছে মা, মমতা আর মাতৃত্ব।

উৎসাহ দেওয়া
মায়ের সাথে সন্তানের এমন একটি বন্ধন যে তাকে নিয়েই মায়ের পুরো দুনিয়া। কী করলে সন্তানের ভালো হবে তাই নিয়ে তার সব চিন্তা। তাই যেকোনো কাজে মা সন্তানকে সবার আগে উৎসাহ দিয়ে থাকে। কারণ মা জানেন যখন তার সন্তান সেই কাজটিতে বিজয়ী হবে তখন তার চেয়ে খুশি আর কেউ হতে পারবেনা। সন্তানের হাসিমাখা মুখটিই যেন মায়ের কাছে তপ্ত রোদে এক পশলা বৃষ্টি।

মনের কথা বুঝতে পারা
মানুষের মুখ দেখে জোত্যিষী ভুল বললেও সন্তানের মুখ দেখে মা কখনো ভুল বলতে পারেন না। মেয়ের এই অপার এক ক্ষমতা আছে। যাতে তিনি না বলেই বুঝে যান সন্তানের মনে কী চলছে। মাকে সে কি বলতে চায় নয়তো মায়ের কাছে সে কি লুকাতে চাচ্ছে। শত কষ্ট হলেও মা তার সন্তানের সেই আবদার রাখে। আর সন্তানের সেই ভালোবাসা মাখা মা ডাক মায়ের কাছে যেন মধুর থেকেও মধুর হয়ে যায়। এই ভাবেই মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক সুন্দর আর ভালোবাসা পূর্ণ হয়ে ওঠে।

shorishar

সহযোগী
এই একটি মাধ্যম যা মা তার সন্তানের জন্য নিজ হাতে তৈরি করে দেন। যাতে সে তার মাকে নিজের সহযোগী মনে করে। এতে মায়ের সাথে তার সম্পর্ক আরো মিষ্টি আর খুনশুটিপূর্ণ হয়। তারা একে অন্যর উপর আস্থাশীল আর কাজ করতে ভালোবাসে। মা আর সন্তানের মধ্য এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে ঠিক এই পথ ধরেই।

এইচএন/পিআর

আরও পড়ুন