উপটানে রূপচর্চা
ত্বকের যত্নে উপটানের ব্যবহার অপরিহার্য। একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান মিলিয়ে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়। তবে সব ত্বকের জন্য একই ধরনের উপটান ব্যবহার করা যাবে না। উপটান ব্যবহার করতে হবে ত্বকের ধরন বুঝে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপটানেও রয়েছে ভিন্নতা। চলুন জেনে নেই-
শুষ্ক ত্বকের জন্য
২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া, আধা টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ মধু, ১টি পাকা কলা, প্রয়োজনমতো তরল দুধ নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করুন। উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ও কোমলতা বজায় থাকবে।
মিশ্র ত্বকের জন্য
২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া, আধা টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া, ২ টেবিল চামচ দুধ নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ফেসওয়াশের মতো করে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করতে ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতরকার ময়লা পরিষ্কার হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এই পেস্টটি রেফ্রিজারেটরে ৩ থেকে ৪ দিন রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া, আধা টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া, ১টি কমলার রস বা লেবুর রস, আধা কাপ দই নিন। সব কয়টি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই উপটান নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক সুন্দর, মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও থাকবে না।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে
৪ টেবিল চামচ বেসন, ২ টেবিল চামচ দুধের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ তরল দুধ, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, দেড় টেবিল চামচ আম-গুঁড়া, আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল, কয়েক ফোঁটা গোলাপজল নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে মুখে ও গলায় লাগান। লাগানোর সময় আলতো করে ম্যাসাজ করে নিন। প্যাকটি পুরোপুরি শুকানোর আগে তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।
এইচএন/আরআইপি