চন্দন দিয়ে রূপচর্চা
রূপসচেতন মানুষের কাছে খুব প্রিয় একটি নাম চন্দন। এর সুঘ্রাণ এবং কার্যকারিতার কারণেই রূপচর্চার ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। চন্দনে আছে অসংখ্য ঔষধি গুণ। প্রাচীন কালে রূপচর্চার অন্যতম একটি উপাদান ছিল চন্দন। বর্তমান সময়েও বিভিন্ন রকম কসমেটিক্স ও সুগন্ধীতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় চন্দন বেশ উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের খুবই কার্যকর একটি উপাদান। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো এক সাথে মিশিয়ে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ হবে উজ্জ্বল এবং মসৃণ।
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্যকরে। এতে রয়েছে বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট, যা মুখের বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে চন্দন বেশ কার্যকর। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বকের জ্বলা কমাতে সাহায্য করবে।
ডিমের কুসুম বা মধু, ও চন্দন গুঁড়া একসাথে মিক্সড করে পেস্ট তৈরি করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১০- ১৫ মিনিট রাখুন। এর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন এভাবে প্রতিদিন ব্যহার করলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।
যাদের ডার্কসার্কেলের সমস্যা তারা অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারা রাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ কমে যাবে।
এইচএন/পিআর