আলুর পুষ্টিগুণ
আলুর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। দেহের ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক আলুকে বলা হয় এসিডিটি প্রতিরোধক। এর প্রোটিন কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী। আলুতে জিঙ্কসহ অন্য উপাদান থাকায় তা ত্বকের যত্নে বিশেষ উপযোগী। আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখ ও শরীরে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়। আলুর তৈরি এ ফেস প্যাক ত্বকের দাগও দূর করে। বিভিন্ন ধরনের ব্রন নির্মূলেও বিশেষ সহায়ক। পুড়ে বা ঝলসে যাওয়া ত্বকের ওপর তা আলতো করে লাগালে কষ্ট কমে। আলুকে স্কার্ভি ও রিউমেটিক প্রতিরোধক বলা হয়।
যাদের হজমের সমস্যার পাশাপাশি উচ্চ চাপজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য আলু বিশেষ উপযোগী। হৃদরোগের জন্যও বিশেষ সহায়ক। তবে সমস্যা হলো আলু বেশি খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ে। ডায়রিয়া হলে আলু খেলে সহজে ঘাটতি পূরণ হয়।
শিশুদের জন্য আলু খুবই সহায়ক খাদ্য। অনেক সময় আমাদের প্রধান খাদ্য ভাতের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য আলুর প্রতি ১০০ গ্রামে আছে প্রায় ৯৬ কিলোক্যালরি। ৬০ গ্রাম আলু ভাজিতে প্রায় ২৩৫ কিলোক্যালরি এবং ৪০ গ্রাম আলুর চিপসে প্রায় ২০৪ কিলোক্যালরি পাওয়া যায়।
আলুতে স্বল্প পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি। আলুর খোসায় খাদ্য আঁশ আছে ১০০ ভাগ। আরও আছে আয়রন, পটাসিয়াম এবং কলিন। এতে ভিটামিন ‘বি’ আছে কিছু পরিমাণে। তাই খোসাসহ আলু রান্না করলেও তা খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক প্রতিরোধেও আলু সাহায্য করে থাকে। পটাসিয়াম থাকায় আলু আমাদের দেহকোষে ইলেকট্রোলাইট ও ফ্লুইডের সমতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। হার্টের স্বাভাবিক কাজকর্মে সাহায্য করার পাশাপাশি ব্লাডপ্রেসারও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এইচএন/আরআইপি