ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

যে কারণে পেয়ারা খাবেন

প্রকাশিত: ০২:১৭ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

সুস্বাদু একটি ফল পেয়ারা। সবার কাছেই এটি অনেক প্রিয় একটি ফল। পেয়ারা কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়ে কিংবা তেতুল দিয়ে কাঁচামরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেতে সবাই ভালোবাসে। কেউ কেউ প্রচণ্ড গরমের মাঝে পেয়ারার ভর্তা বানিয়েও খেয়ে থাকেন। মুখরোচক এই খাবারটির রয়েছে বেশকিছু গুণ। চলুন সেই গুণগুলো দেখে আসি।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
পেয়ারায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, বি২ আর মিনারেল। তবে পেয়ারায় ক্যালরি এবং ফ্যাট বলতে গেলে একেবারেই নেই। পেয়ারা ক্যান্সার প্রতিরোধোক হিসেবেও কাজ করে। পেয়ারাতে ভিটামিন এ, বিটাক্যারোটিন, লাইকোপিন, লুটিন এবং ক্রিপ্টোজ্যান্থিনের মতো নানা ভিটামিন আর পুষ্টিগুণ রয়েছে। সুস্থ দেহের জন্য এসব উপাদান অত্যন্ত জরুরি। যাদের ফুসফুস এবং মুখগহ্বরে ক্যান্সারের মতো রোগ আছে তাদের জন্য পেয়ারা আদর্শ খাবার। এর পাশাপাশি পেয়ারার লাইকোপিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি হতে ত্বক রক্ষা করে এবং এর সাথে পেয়ারা প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

পেট পরিষ্কার রাখে
যাদের হজমজনিত সমস্যা আছে তারা পেয়ারা খেতে পারেন। এটি আপনার হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া পেয়ারা মূলত একটি উচ্চ আঁশযুক্ত ফল যার ফলে এটি পেট পরিস্কার রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। অন্ত্র ও পাকস্থলি থেকে বিষাক্ত উপাদানসমূহ দূর করতে এটি নানাভাবে সাহায্য করে।

রক্তনালী, ত্বক, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দৃঢ়তা
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। অনেকে বাইরের শক্ত আবরণটি খেতে চান না। কিন্তু ভিতরের মাংসালো পেশি অপেক্ষা বাইরের শক্ত আবরণে তুলনামূলক বেশি ভিটামিন বিদ্যমান। ভিটামিন সি শরীরে যেকোনো ক্ষত হতে ঘা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা আছে তারা পেয়ারা খেতে পারেন। এর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

pearaa

হৃদরোগ প্রতিরোধ
যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে তারা তাদের খাবারের তালিকায় পেয়ারা রাখতে পারেন। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালো রাখে। হার্টের সমস্যায় ভুগলে পেয়ারা খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পেয়ারা খেতে পারেন।

ডায়বেটিস প্রতিরোধে
অনেকেই মনে করেন কেবল ভিটামিন সি এর উৎস হচ্ছে লেবু। কিন্তু একটি পেয়ারায় লেবুর চারগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। যা আমরা অনেকেই জানিনা। এছাড়াও পেয়ারায় থাকে ভিটামিন বি-২, ভিটামিন কে এবং ই। শুধু ভিটামিনই নয়, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফেরাস, লোহা, তামা, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো প্রচুর খনিজও থাকে এই ফলে। যা ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

এইচএন/আরআইপি

আরও পড়ুন