ফ্রিজে খাবার রাখবেন যেভাবে
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে খাদ্য। খাবার ছাড়া আমরা একটি দিনও চিন্তা করতে পারি না। আমাদের শরীরের শক্তির একটি বড় উৎস হচ্ছে এই খাবার। তাই খাবারকে রাখা উচিৎ সুন্দর ভাবে আর সংরক্ষণের বেলায় হওয়া উচিৎ সচেতন। খাবার সংরক্ষণের কথা শুনলে আমাদের মাথায় সবার আগে যে শব্দটি আসে তা হচ্ছে ফ্রিজ। ফ্রিজ ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন চিন্তা করা অসম্ভব। তাই এই ফ্রিজেরও চাই যত্ন। আর খাবার রাখা উচিৎ সঠিকভাবে। খাবার যদি সঠিকভাবে গুছিয়ে রাখা না হয় তাহলে দেখা যাবে ফ্রিজে জমে গিয়েছে ময়লা আর তাতে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধ।
বাজার থেকে আনা সবকিছুই ফ্রিজে তুলে রাখবেন না। আগে নির্বাচন করুণ কোন খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা আবশ্যক। এরপরে সেই খাবারগুলো মোটা কাগজে মুড়ে কিংবা মোটা প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে ফ্রিজে রাখুন। কম পচনশীল খাবার যেমন মরিচ, শশা, শাক এগুলো ফ্রিজের উপরের চেম্বারে রাখুন আর মাছ, মাংস এই সমস্ত খাবার ফ্রিজের নিচের তাকে রাখুন।
শাক, মরিচ, সবজি এই খাবারগুলো আলাদা আলাদা করে প্যাকেট করে তাকে তাকে রাখুন। এছাড়া ছোট ছোট প্ল্যাস্টিকের বাটিতে ভাগ ভাগ করে রাখতে পারেন এই খাবারগুলো। এতে কাজের সময় যেমন হাতের কাছে পাওয়া যাবে তেমনি ফ্রিজের ভেতরটা থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। মাছ, মাংসের বেলাতেও একই কাজ করুন। আর তাতে আলাদা করে গরু, খাসি, মুরগি, মাছ লিখে রাখুন। এতে আপনার ফ্রিজ যেমন পরিষ্কার থাকবে তেমনি খাবারো থাকবে যত্নে।
ফ্রিজ অযথা খোলা রাখবেন না। বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্রিজ বন্ধ করে রাখুন। এছাড়া বারবার ফ্রিজ কারণ ছাড়া খুললে তাতে পর্যাপ্ত ঠান্ডা হয় না আর এতে ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক। তাই ফ্রিজে তালা দিয়ে রাখুন এবং খাবারকে নষ্ট হওয়ার থেকে সংরক্ষিত করুণ।
ফ্রিজে রাখা আরেকটি খাবার হচ্ছে ধনেপাতা। এটি আপনি সঠিকভাবে না রাখলে পুরো ফ্রিজ জুড়ে আপনি একে খুঁজে পাবেন। তাই ধনে পাতা ফ্রিজে রাখার আগে তা ছোট ছোট করে কেটে প্ল্যাস্টিক বক্সে করে আলাদাভাবে রাখুন।
একসাথে অনেক ডিম এনে তা ফ্রিজে রাখা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই ডিম সরাসরি ফ্রিজে রাখার আগে পরিষ্কার করি না। কিন্তু ডিমের উপরের অংশে থাকে অনেক ময়লা, যা থেকে ফ্রিজে অন্য খাদ্যদ্রব্যে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই ডিম আনার পর তা কিছুক্ষণ হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন।
এইচএন/জেআইএম