ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

কিডনি সুস্থ রাখার আট উপায়

প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

কিডনি মানুষের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রতিদিন ১৮০ লিটার রক্ত আমাদের দুটি কিডনির মাধ্যমে পরিশোধিত হয়, অর্থাৎ শরীরের কোষ পর্যায়ের বিপাকীয় যে বর্জ্য তৈরি হয় তার পরিশোধন কিডনির অন্যতম কাজ। ফলে এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সুস্থতা রক্ষাও আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

কিডনি রক্ত ফিলটার করে, মূত্রের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, হরমোন উৎপাদন করে। এসব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে তার অর্থ, কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। কিডনি ভালো রাখার পন্থাগুলো দেখা যাক।

সচল থাকুন, সক্রিয় থাকুন
খেলাধুলা, হাঁটাচলা, এক্সারসাইজ হল ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখার এবং ডায়াবেটিস রোখার শ্রেষ্ঠ পন্থা। ডায়াবেটিস থেকেই কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। ডায়ালিসিস পেশেন্টদের ৩০ শতাংশ হল ডায়াবেটিসের রোগী।

ব্লাড সুগার চেক করান
ব্লাড সুগারের লেভেল স্টেডি থাকা চাই। উচ্চ ব্লাড সুগার কিডনির ভেতরের ব্লাড ভেসেল’গুলোর ক্ষতি করে, ফলে ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন হয় না। ব্লাড সুগার ঠিক থাকলে, কিডনিও ভালো থাকে।

ব্লাড প্রেসারের খেয়াল রাখুন
উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলিওর-এর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। দীর্ঘমেয়াদে হাই ব্লাড প্রেসার ব্লাড ভেসেলগুলোর ক্ষতি করতে পারে। কিডনির কর্মক্ষমতা অক্ষত রাখার জন্য রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর বেশি হলে চলবে না। রক্তচাপ কম রাখার জন্য দরকার পড়লে ওষুধ খেতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন
কথায় বলে ‘ব্যালেন্সড ডায়েট’, মানে ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন। বেশি মোটা হওয়ার সঙ্গে রক্তের উচ্চচাপ এবং ডায়াবেটিস, উভয়েরই যোগ আছে। যতো কম সম্ভব লবণ খাওয়া উচিত, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ কিডনির ক্ষতি করে।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন
শরীর থেকে হানিকর পদার্থ ফিলটার করে বার করার জন্য কিডনির পানি লাগে। কাজেই দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া উচিত৷ ক্রীড়াবিদদের আরো বেশি পানি লাগবে। ডায়ালিসিস-এর পেশেন্টদের অনেক কমেই কাজ চলে যায়।

ধূমপান ছাড়ুন
ব্লাড ভেসেল-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান। এছাড়া সাধারণভাবেই ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

পেইনকিলার বেশিদিন নেবেন না
বহুদিন ধরে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতি হয়। আগে থেকেই কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকলে, বাজারে কেনা যায়, এমন পেইনকিলার নেওয়াটাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে। সর্বক্ষেত্রেই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে দেখা ভালো।

প্রতি বছর কিডনি চেক করান
বিশেষ করে যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন: যাঁদের বয়স ষাটের বেশি; যাদের ডায়াবেটিস কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার আছে; যাদের মেদ বেশি অথবা যাঁদের পরিবারের কারুর কিডনি ফেইলিওর হয়েছে।

বিএ/আরআই