শিশুর পড়ার অভ্যাস
তাড়াতাড়ি পড়তে বসো- এই বাক্যটি ছেলেবেলায় শুনেনি এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। আর পড়তে না বসার ইচ্ছা মনে নিয়ে হাজার কষ্টে পড়ার টেবিলে বসার গল্পটাও সবার জীবনেই আছে। পড়া নিয়ে শিশু মনে থাকে নানা ভীতি। কেউ কেউ মনে না রাখতে পারার সমস্যাতেও ভোগে। তারপরও পড়তে বসতে তো হয়েই। সময়ের সাথে সাথে পড়ার আর পড়ানোর বিষয়ে এসেছে নানা পরিবর্তন। একটি সময় ছিল যখন স্কুলের বাইরে মা কিংবা বাবাই ছিল সন্তানের একমাত্র শিক্ষক। যা বর্তমানে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউটর। তবে পড়ার সেই সময় আর পড়ার সেই বিষয়টি এখনো আছে তার জায়গাতেই। তবে এই পড়ার বিষয়টিকে চাইলেই একটু মজার করে আরো সহজ করে তোলা সম্ভব।
পড়া শুরুর হাতেখড়ি অক্ষর দিয়ে। তাই শিশুকে অক্ষর চেনানো শুরুর সময় তাকে রঙিন বইয়ের সাথে পরিচিত করে দিন। তাতে আঁকা ছবি তাকে পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করবে। এতে তার পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। পড়াকে নিয়ে তার মনের গহীনে যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা এভাবে অল্প অল্প করে দূর করা সম্ভব।
শিশুকে পড়ার বইয়ের পাশাপাশি বাইরের নানা গল্পের আর কবিতার বই পড়তে উৎসাহ দিন। তাকে নানা লেখকের বইয়ের সাথে পরিচিত করুন। এমনিতেও শিশুদের মনে থাকে কল্পনার রাজ্য। তাই শিশুকে বেশিবেশি রুপকাথার গল্প পড়তে বলুন। এতে তার মনে কল্পনা শক্তির এক অপার রাজ্যর সৃষ্টি হবে।
শিশুকে জোর করে পড়তে বসাবেন না। তার যা পড়তে ভালোলাগে তাকে তাই পড়ান। শিশু বুঝবেনা এটাই স্বাভাবিক। তার এই না বোঝা নিয়ে গালমন্দ করবেন না। তাকে না পারলে বারবার বুঝিয়ে বলুন। ছোট ছোট বিষয় গুলোতে উৎসাহ দিন।
শিশুকে ঘুরতে নিয়ে যান। আপনি যতই ব্যাস্ত থাকুন না কেনো, সন্তানের সাথে সপ্তাহে অন্তন একটি দিন কাটান। তাকে বাইরের জগতের সাথে পরিচিত গড়তে সাহায্য করুন। নানা জিনিস সম্পর্কে তাকে ধারনা দিন। দেখবে শিশুর ভেতরে শেখার আগ্রহ বাড়ছে।
প্রশ্ন! অনেক বড় শেখার একটি মাধ্যম। শিশুকে নানা ভাবে প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিন। তার যত জানার আগ্রহ জন্মাবে তার তত পড়তে ইচ্ছে করবে। তাই শিশুকে নানা প্রশ্ন করে তাকে পড়তে আগ্রহী করে তুলুন।
এইচএন/পিআর