ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ফিল্টার কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

প্রকাশিত: ০৭:৪২ এএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

পানির অপর নাম জীবন, তবে সেটা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। কারণ জীবাণুযুক্ত পানি খেলে মারাত্মক অসুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ফিল্টার ব্যবহার করেন অনেকেই। যারা পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ফিল্টার কেনার কথা ভাবছেন তাদের জন্য কিছু টিপস-

কোন মডেল কিনবেন:
বাজারে পানির ফিল্টারের যে এত মডেল রয়েছে যা দেখলে আপনাকে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হবে। সাধারণ মানের ফিল্টার মূলত কার্বন ফিল্টার যেখানে ক্লোরিন, লিড এবং মারকারি স্তরবদ্ধভাবে থাকে। যদি আরেকটু ভালো মানের ফিল্টার চান তবে বাড়ির পানির লাইনের সঙ্গে যুক্ত থাকে এমন একটি ফিল্টার-ব্যবস্থা লাগিয়ে নিতে পারেন।

কার্বন ফিল্টার যথেষ্ট নয়:
এই ফিল্টার পানির সব ময়লা-জীবাণু দূর করেত পারে না। পানির আর্সেনিক, হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম ইত্যাদি দূর করতে হলে আপনার রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতির ফিল্টারে যেতে হবে।

রিভার্স অসমোসিস ফিল্টার :
এটা পারি বিশুদ্ধকরণের এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে দূষিত পানি পুরো বিশদ্ধ করা যায়। শতভাগ বিশুদ্ধ পানি চাইলে মূল্য দিয়ে এই পদ্ধতির ফিল্টার-ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। এ জন্য পানি বিশুদ্ধকরণ পণ্য বিক্রি করে এমন দোকানে যোগাযোগ করুন।

অ্যালকাইন ফিল্টার :
এই ফিল্টারের মূল কাজ পানিকে বিশুদ্ধ করা নয়, বরং পানিতে কিছুটা ক্ষারের পিএইচ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া। তবে এসব ফিল্টারের সঙ্গে বাড়তি অংশ হিসেবে বিশুদ্ধকরণের ব্যবস্থা থাকলেও থাকতে পারে।

আলট্রাভায়োলেট লাইট ফিল্টার :
অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে এই ব্যবস্থা পানির ব্যাকটেরিয়া এবং নানা জীবাণুকে মেরে ফেলে। কিন্তু তারা কিছু পরিষ্কার করে না। এতে জীবাণুমুক্ত পানি খেতে পারবেন। কিন্তু অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানমুক্ত অবস্থায় পানি পাবেন না।

শাওয়ার ফিল্টার :
বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্গে গোসল করার পানিকেও পরিষ্কার করতে পারবেন। কারণ সুস্থ থাকতে হলে গোসলের পানিও জীবাণুমুক্ত থাকা প্রয়োজন। ব্যবহারের পানিতে অতিমাত্রার ক্লোরিন থাকলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এতে চুলও পড়ে যায়। তাই শাওয়ার ফিল্টার একটি লাগিয়ে নিতে পারেন।

এইচএন/পিআর