ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

সর্দি-কাশি সারাতে যা খাবেন

প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৭

ঠান্ডা, ধুলোবালি কিংবা এ্যালার্জিজনিত কারণে সর্দি-কাশি দেখা দেয় অনেকেরই। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার এই ইনফেকশনকে দূর করার জন্য অনেকে নিজে নিজেই ঔষধ গ্রহণ করেন, কেউ বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সাধারণ ঠান্ডা ও কাশি দূর করতে পারে কিছু আপনার ঘরে থাকা কিছু মশলা।

তীব্র কাশি ও ঠান্ডা এবং গলাব্যথা যাই হোকনা কেন রসুনের একটি কোয়া চিবানো প্রয়োজন আপনার। রসুনে অ্যালিসিন নামক ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান থাকে যা ঠান্ডা-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ১ টি টমাটো, ২ কোয়া রসুন ও লেবুর রস মিশিয়ে স্যুপ তৈরি করে পান করলে ভালো ফল পাবেন।

দারুচিনিতে ভাইরাস নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে যা শুধু ভারাসের ইনফেকশন প্রতিরোধই করেনা বরং নিরাময়েও সাহায্য করে। ১ কাপ গরম পানিতে দারুচিনি গুঁড়া, ১ চিমটি মরিচের গুঁড়া এবং মধু মিশান। দিনে অন্তত দুই বার এটি পান করুন ভালো ফল পেতে।

ব্যাকটেরিয়ানাশক উপাদানে পরিপূর্ণ গোলমরিচ। গোলমরিচ শুধুমাত্র খাবারে উষ্ণ ও মসলাযুক্ত স্বাদই যুক্ত করেনা বরং কফ নরম করে ও নাকের সর্দি পরা বন্ধ করতে সাহায্য করে। গরম স্যুপের উপর গোলমরিচ ছিটিয়ে নিন অথবা ১ চামচ মধুর সাথে ১ চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খালি পেটে খান। এতে ঠান্ডা ও কাশি দূর হবে।

নিঃশ্বাসের সজীবতা দিতে পারে লবঙ্গ। প্রতি গ্রাম লবঙ্গে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আধা কাপ জামে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে ঠিক সেই পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে আধা চামচ লবঙ্গে।

ঠান্ডা ও কাশি দূর করার জন্য সকালে ১ কাপ গরম আদা চা পান করুন। ১ কাপ পানিতে ১ চামচ আদা কুচি ও চা-পাতা ফুটিয়ে নিন। এর সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে গলায় শীতল অনুভূতি পাবেন। আদার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান শুধু লালা নিঃসরণকেই উৎসাহিত করেনা বরং মিউকাস নিঃসরণেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমেই কাশির উপসর্গ দূর হয়।

প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশি দূর করার জন্য দাদী-নানীরা হলুধ-দুধ ব্যবহার করে আসছেন যা আসলেই অনেক কার্যকরী। হলুদ প্রদাহরোধী উপাদান, কারকিউমিন ও ভোলাটাইল অয়েলে পরিপূর্ণ। তাই হলুদ ঠান্ডা-কাশি ও গলাব্যথা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

পরিপাক প্রক্রিয়াকে শান্ত করতে ও নিঃশ্বাসে সজীবতা আনতে সাহায্য করে মৌরি। পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ঠান্ডা ও কাশি দূর করতেও সাহায্য করে মৌরি।

এইচএন/জেআইএম

আরও পড়ুন