যেমন হবে শিশুর আচরণ
একটি ছোট্ট শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন পুরো পরিবেশটাই থাকে তার অচেনা। বাবা-মা, আপনজনের হাত ধরে ধীরে ধীরে সে বড় হয়। শিশু তা-ই করে, তা-ই শেখে, যা সে তার কাছের মানুষদের করতে দেখে। আচার-আচরণের শিক্ষা শিশু গ্রহণ করে পরিবার থেকেই। তাই শিশুকে সুন্দর ব্যবহার শিক্ষা দিতে হলে সচেতন হতে হবে পরিবার, অভিভাবককেই-
১. শিশুকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে বা বাড়িতে মেহমান এলে, ফোনে কথা বলার শুরুতে সালাম দিতে শিখিয়ে দিন। শিখিয়ে দেয়ার পর ভুলে গেলে সময়মতো কাজটি করতে তাকে মনে করিয়ে দিন। তেমনি বিদায়ের সময় অতিথিকে আবার আসবেন বলতে শেখান।
২. কাউকে অনুরোধ করার সময় প্লিজ এবং অনুরোধ রক্ষা করলে বা কেউ কিছু গিফট করলে ধন্যবাদ বলতে শেখান।
৩. বড়দের সঙ্গে উচ্চ স্বরে বা চিত্কার করে কথা না বলা, তাদেরকে সম্মান করা, কিছু জানতে চাইলে সুন্দরভাবে জবাব দেয়া, নাম ধরে ডাকলে জি বলা ইত্যাদি অভ্যাস একটু একটু করে শিখিয়ে দিন। তবে সব একদিনে শিখিয়ে দিলে সে গুলিয়ে ফেলবে। তাকে আস্তে আস্তে এসব শিখিয়ে দিন। এতে সে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
৪. আমরা বড়রা ফোনে, ঘরোয়া আড্ডায়, অতিথির সামনে প্রায়ই মিথ্যা বলি এবং তা আমরা অসচেতনতাবশত শিশুদের সামনেই করি। শিশুরা যেহেতু অনুকরণপ্রিয় তাই পরবর্তীতে সুযোগ পেলে তারাও মিথ্যা বলে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুকে সত্য কথা বলা শেখাতে হবে এবং বড়দেরও শিশুদের সামনে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
৫. বাড়ির কাজের লোক, ড্রাইভার, দারোয়ানের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে শিখিয়ে দিন। পাশাপাশি আপনি নিজে এবং বাড়ির বড় সদস্যরাও সচেতন থাকুন।
৬. স্কুলের মিসকে সালাম দেয়া, সহপাঠীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, সময়মতো হোমওয়ার্ক করা, নিয়মিত স্কুলে যাওয়া, স্কুলে যাওয়ার জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা, পড়া শেষে নিজের বই-খাতা গুছিয়ে রাখা, স্কুল থেকে ফিরে যেখানে কাপড়-চোপড় বা জুতা ফেলে না রাখা ইত্যাদি অভ্যাসে তাকে স্কুলে ভর্তির শুরু থেকেই অভ্যস্ত করতে চেষ্টা করুন, যা তাকে পরবর্তী স্কুলজীবনেও সহায়তা করব।
এইচএন/আরআইপি