গায়ের রঙ বুঝে ফ্যাশন
সব মানুষেরই নিজস্ব ফ্যাশন থাকে। নিজের মতো করে সাজতে, পোশাক পরতে ভালোবাসেন প্রত্যেকেই। তবে কাকে কোন ধরনের ফ্যাশনে মানাবে তা অনেকটাই তাদের গড়ন আর বাহ্যিক রঙের ওপর নির্ভর করে। তাই ধরন বুঝে সাজ-পোশাক বেছে নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। চলুন জেনে নেই কেমন সাজ ও পোশাকে আপনাকে মানাবে।
ফর্সা রঙ
অনেকেরই ধারণা, গায়ের রঙ ফর্সা হলে বুঝি সবরকম রঙের পোশাকই পরা যায়। তবে বাস্তবে ব্যাপারটি কিছুটা ভিন্ন। ব্যক্তিভেদে পোশাকের রঙ নির্বাচন করা উচিত। ফর্সা রঙের মেয়েদের গাঢ় রঙের চেয়ে হালকা রঙে বেশি মার্জিত লাগে। ফর্সারও ধরন আছে। সাদা ফর্সা, গোলাপি ফর্সা, হলদে ফর্সা। সাদা ফর্সাদের হালকা রঙের পোশাকে বেশি ভালো লাগে। গাঢ় হালকার মিশ্রণেও ভালো মানায়। গোলাপি বা লালচে ফর্সাদের মাঝামাঝি গাঢ় রং কিংবা হালকা দুটোই মানায়। হলদে ফর্সাদের মোটামুটি সব রঙ-ই মানিয়ে যায়।
শ্যামলা রঙ
যেকোনো রঙ নির্বাচন করার আগে আয়নায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিন, আপনাকে মানাচ্ছে কিনা। এমন রঙ নির্বাচন করা উচিত যাতে আপনাকে উজ্জ্বল দেখাবে। শ্যামলা রঙের মেয়েদের জন্যে বাসন্তি, হলুদ, ডিমের কুসুম হলুদ, হালকা কমলা, মেরুণ, সাদার সাথে লালের কম্বিনেশন, হালকা সবুজ এই রঙগুলো সহজেই মানিয়ে যায় আর উজ্জ্বল লাগে। কালচে বেগুনি অর্থাৎ ঘন গাঢ় বেগুনি, নীল, গাঢ় ঘন কালচে সবুজ ইত্যাদি রং পরলে গায়ের রং আরও ডার্ক মনে হতে পারে। তবে কালচে নেভি ব্লুতে শ্যামলাদের ভালো লাগে।
চাপা রঙ
গায়ের রঙ একটু কালোর দিকে হলে অনেকেই পোশাকের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়েন। হয়তো ভাবেন কোনো রঙ-ই মানাচ্ছে না। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। যেকোনো রঙ-ই আপনি পরতে পারেন, তবে পরার আগে আয়নায় পোশাকটি গায়ের ওপর ধরে একটু দেখে নিন, আপনাকে কেমন মানাচ্ছে। গায়ের রঙ কালো হলেও চেহারা আকর্ষণীয় আর একটু চিকন ধাঁচের হলে যেকোনো পোশাকেই আকর্ষণীয় লাগে।
যদি ডার্ক রঙের পোশাক পরতে চান তবে সাজসজ্জাটা একটু হালকা করতে হবে, কম গয়না পরতে হবে। ওড়না যদি রংচঙে হয়, জামাটা হালকা রঙের হতে পারে। এভাবে নিজের মতো করে মিলিয়ে নিতে হবে। যেকোনো রঙ-ই বুঝে পরা যেতে পারে। তবে খুব চোখে লাগে এমন কোনো রঙ ব্যবহার না করাই ভালো। কটকটা লাল রঙটা সাধারণত দৃষ্টিকটু লাগে।
এইচএন/এমএস