হঠাৎ জ্বর এলে কী করবেন
বিশেষ বিশেষ সময়ে জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমন হয়ে থাকে। শীতের শেষে গরম পড়তে শুরু করেছে। এ সময় অনেকেরই জ্বর হতে দেখা যায়। জেনে নেয়া যাক হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে।
হঠাৎ করে জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি। খাবারে অরুচি, সেই সাথে দুর্বলতা। সাথে মাথা ঘুরানো তো আছেই। এমন অবস্থা হলে প্রচুর তরল এবং শক্তিবর্ধক খাবার খাওয়া উচিত। কাঁচা হলুদ টুকরো টুকরো করে কেটে এক গ্লাস পরিমাণ দুধের সাথে জ্বাল দিতে হবে। মিনিট পাঁচেক পর হলুদের টুকরোগুলো ফেলে দিয়ে চিনি বা মধু মিশিয়ে ওই দুধটুকু পান করলে দ্রুত জ্বর সেরে যাবে। সেই সাথে দেহের রোগ প্রতিরোধ মতাও বাড়বে।
জ্বরের প্রধান ও প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে প্রচুর তরল খাবার খাওয়া। পানি তো চলবেই, সাথে গরম স্যুপ, আদা-চা, জুস ইত্যাদিও চলবে। গরম পানীয়তে কাশিটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। আদা-চা ও গরম পানীয় গলা ব্যথা ও মাথা ব্যথা দূর করতে সহায়ক।
জ্বর হলে রোগীর পুরো শরীর স্পঞ্জিং করিয়ে দিতে হবে। টানা প্রায় ১০ মিনিট অবিরাম স্পঞ্জিং করলে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। তবে যাদের অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা বোঝা যাবে, যেমন কাশি ও বুকের মধ্যে ঘড়ঘড়ে ভাব দেখা দিলে তাদের স্পঞ্জিং করার সময় বুকে যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের ঠান্ডা পানি মোটেও খাওয়া যাবে না। তাদেরকে গরম পানি মিশিয়ে খাওয়ানো ভালো। স্পঞ্জিং করার সময় হালকা করে ফ্যান ছেড়ে রাখতে পারেন। আবার খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাতাস রোগীর শরীরে যেনো ডাইরেক্ট না লাগে।
একটি ছোট গামছা অথবা রুমাল পানিতে ভিজিয়ে শরীর স্পঞ্জিং করতে হবে। আবার স্পঞ্জিং করার পর অপর একটি শুকনো ছোট গামছা দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, যে কোনও জ্বরেই স্পঞ্জিং উপকারী। এভাবে প্রয়োজনে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টাও করা যায়।
তবে অনেক সময় শীত করে জ্বর আসার কারণে রোগি স্পঞ্জিং করতে চান না। সেক্ষেত্রে নাপা বা প্যারাসিটামল গুপের ট্যাবলেট দিয়ে জ্বর কমাতে পারেন। যাদের কাশি বা ঠান্ডা লাগার পরিমাণ বেশি তারা এলাকট্রল ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে প্যারাসিটামলের অতিরিক্ত কোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া মোটেও উচিত হবে না।
স্বাভাবিক ঠান্ডা জ্বর হলে প্যারাসিটামল কিংবা স্পঞ্জিং করে জ্বর চলে যেতে পারে। তবে ১০০ ডিগ্রির বেশি হলে তবেই প্যারাসিটামল খাওয়ানো যাবে। যদি ৩ দিন বা তার অধিক দিন জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এইচএন/আরআই